জীবন সংগ্রামী মেয়ে সুলেখা। ঢাকায় থাকেন। কষ্ট করে পড়াশোনা করেন। একটি বাসায় টিউশনি করান সুলেখা। প্রতিদিন পড়াতে যাওয়ার সময় রাস্তায় ছেলেরা তাকে বিরক্ত করে। তাকে শুনিয়ে নানা কটু কথা বলে। শুধু তাই নয়, যে বাড়িতে সে পড়াতে যায়, সেই শিক্ষার্থীর বাবাও তাকে নানাভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করে। বাসে উঠলে কখনো তাকে ঘিরে ধরা হচ্ছে, কেউবা ইচ্ছে করে ধাক্কা দিচ্ছে, কখনো বা বাজে মন্তব্য করছে। অথচ আশপাশের কেউ কোনো প্রতিবাদ করে না। সবাই মুখ বুজে থাকে। প্রায় প্রতিদিনই সুলেখাকে এসব পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়।
সুলেখা একা নন, তার মতো আরো দুজন নারী স্বর্ণা ও সুলতা। তারাও নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিদিন বঞ্চনার শিকার হন। শোষণ, বঞ্চনা ও নির্যাতনে এ তিন নারী যেন এক সুতোয় গাঁথা। তারা কোনো প্রতিবাদ করতে পারেন না। কিন্তু এভাবে কতদিন? নিজেদের ওপর চলা অন্যায় সহ্য করতে করতে একসময় ঘুরে দাঁড়ান তারা। অনুধাবন করেন, স্বাধীন দেশে নারীরাও স্বাধীন। তাহলে তারা কেন অন্যায় দেখলে মুখ বুজে থাকবে? একপর্যায়ে এ তিনজন তাদের সঙ্গে প্রতিদিন ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। এ তিন নারীর গল্প নিয়ে আবু হায়াত মাহমুদ নির্মাণ করেছেন বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ নাটক শেকল ভাঙ্গার দিনে।
নাটকটি সম্পর্কে আবু হায়াত মাহমুদ বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের পেছনে অনেক স্বপ্ন ছিল। তার মধ্যে নারী মুক্তি একটি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সমাজে নারীদের অধিকার, তাদের শক্ত অবস্থানের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর পরও ঘরে-বাইরে নারীদের বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে। সমাজের গুটি কয়েক মানুষ নারীদের শিকল পরিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। তার পরও নারীরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করে চলেছেন। শিকল ভেঙে বাইরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। তিনজন নারীর জীবন সংগ্রামের গল্প এ নাটকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।’ নাটকের কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা আবু হায়াত মাহমুদেরই করা। আলফা আই প্রযোজিত শেকল ভাঙ্গার দিনে নাটকটি ১৬ ডিসেম্বর ৮টা ৪৫ মিনিটে আরটিভিতে প্রচারিত হবে।
এ রকম গল্প বেছে নেয়ার কারণ সম্পর্কে আবু হায়াত মাহমুদ বলেন, ‘শেকল ভাঙ্গার দিনে নাটকের গল্পটি সমসাময়িক এবং এ গল্প মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের সঙ্গে সম্পর্কিত। মুক্তিযুদ্ধ মানেই শুধু