একটা সময় মূল্যনির্ধারণ ভারতের অর্থনীতির অন্যতম শক্তিকেন্দ্র হলেও এ মুহূর্তে পরিস্থিতি বদলে গেছে। দুর্বল প্রবৃদ্ধি ও উচ্চমূল্যস্ফীতি দেশটির অর্থনৈতিক চরিত্রকে ক্রমে জটিল করে তুলছে। এদিকে খুচরা মূল্যস্ফীতির সর্বশেষ পরিসংখ্যানে নভেম্বরে ভারতের প্রধান মূল্যস্ফীতি (ম্যানুফ্যাকচারিং ও সেবা কার্যক্রমে) টানা তিন মাসের মতো ৩ দশমিক ৫ শতাংশের কাছাকাছি থাকতে দেখা গেছে। খবর লাইভমিন্ট।
অক্টোবরে ভারতে ভোগ্যপণ্য উৎপাদন ১৮ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। অর্থাৎ চাহিদা হ্রাসের কারণে সরবরাহ সংকুচিত হয়েছে। একই সময় মূলধনি পণ্য উৎপাদন কমেছে ২২ শতাংশ, যা বেসরকারি খাতে নিস্তেজ বিনিয়োগের প্রতিফলন।
অক্টোবরে ইনডেক্স অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রডাকশন (আইআইপি) ৩ দশমিক ৮ শতাংশ সংকুচিত হয়। এছাড়া ম্যানুফ্যাকচারিং খাতেও টানা তিন মাসের মতো সংকোচন দেখা গেছে। স্বস্তির বিষয় হলো, অক্টোবরে আইআইপির এ সংকোচন প্রত্যাশার কাছাকাছি আছে। বরং বলা যায়, সংকোচনের মাত্রা অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কার চেয়ে কিছুটা কম। তবে এর অর্থ এই নয় যে, প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ কমে গেছে।
এদিকে মন্থর অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ভারত সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিলেও এখন পর্যন্ত এগুলোর খুব সামান্যই প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
নভেম্বরে প্রধান খুচরা মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ৪০ মাসের সর্বোচ্চ। আর পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে খাদ্য, বিশেষভাবে পেঁয়াজের মূল্যস্ফীতি। মূল্যস্ফীতির উৎস নির্বিশেষে মুদ্রানীতির মনোযোগ প্রধান মূল্যস্ফীতির দিকে রয়েছে। এর প্রমাণ পাওয়া যায় রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) গভর্নরের সতর্কবার্তায়। সর্বশেষ নীতিনির্ধারণী বৈঠকে সুদহার অপরিবর্তিত রাখার পর গভর্নর উচ্চমূল্যস্ফীতি বহাল থাকবে বলে সতর্ক করেছিলেন।
এদিকে চলতি মাসের মূল্যস্ফীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। আরবিআই প্রত্যাশার চেয়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য সুদহার পরিবর্তনে বিরতি টানবে কিনা ডিসেম্বরের মূল্যস্ফীতির ওপরই তা নির্ভর করবে।
কিন্তু দুর্বল প্রবৃদ্ধি ও উচ্চমূল্যস্ফীতি বাজার স্থবিরতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে। মোতিলাল অসওয়াল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের প্রধান অর্থনীতিবিদ নিখিল গুপ্তা বলেন, নতুন পরিসংখ্যানও দুর্বল প্রবৃদ্ধি ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির সংমিশ্রণ অব্যাহত থাকার আভাস দিচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ২০১৯-২০ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ৪ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব কিনা, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। একদিকে আরবিআইয়ের মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার দিকে মনোযোগ ও অন্যদিকে সরকারের অর্থনীতি চাঙ্গা করার রসদে টান—এমন একটি পরিস্থিতিতে বলা যায় ভারতের অর্থনীতির ডায়নামিকস ক্রমে জটিল
- এশিয়ার মুদ্রা শক্তিশালী করতে সমন্বিত পদক্ষেপের ইঙ্গিত
- আরো ক্ষয়িষ্ণু হবে দরিদ্র দেশের অর্থনীতি
- গুয়াংজুতে হাইড্রোজেনচালিত গাড়ির ট্রায়াল করবে হুন্দাই
- ভলভোর মুনাফায় ট্রাকের মূল্যবৃদ্ধির ইতিবাচক প্রভাব
- গ্রীষ্মে যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লাইটের চাহিদা বাড়ার পূর্বাভাস
- রেকর্ড ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন যুক্তরাজ্যে রেলযাত্রীরা