টানা চতুর্থ দিনের মতো অনশন অব্যাহত রেখেছেন পাটকল শ্রমিকরা। অনশন পালনরত অবস্থায় গতকাল খুলনায় আ. সাত্তার নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আজ সকাল ১০টায় প্লাটিনাম জুট মিল গেটে বিআইডিসি সড়কে তার জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, বকেয়া মজুরি পরিশোধসহ ১১ দফা দাবি পূরণে গত ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় পাটকল শ্রমিকরা। এর মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা ২৫ নভেম্বর থেকে আন্দোলনে নামেন। এ আন্দোলনের মুখে অর্থ মন্ত্রণালয় সব মিলের বকেয়া মজুরি ও বেতন-ভাতা পরিশোধে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানায়। তবে এর পরও আন্দোলন অব্যাহত রাখে শ্রমিকরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গত মঙ্গলবার বেলা ২টা থেকে শ্রমিকরা নিজ নিজ মিল গেটে আমরণ অনশন শুরু করেন। এর মধ্যে গতকাল আ. সাত্তার মারা যান।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে আ. সাত্তার নামে এক শ্রমিককে হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
জানাযা শেষে আ. সাত্তারের মরদেহ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়। তার জানাযায় খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল সিবিএ-ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মো. মুরাদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মো. মুরাদ হোসেন বলেন, অনশনে অসুস্থ হয়ে শ্রমিক আ. সাত্তার মারা গেছেন। তিনি প্লাটিনাম জুট মিলের শ্রমিক। অনশনস্থলে এখনো অনেক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে আছেন।
রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল সিবিএ-ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান বলেন, শীত এবং অনাহারে অসুস্থ হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে।
জানা গেছে, বকেয়া মজুরি পরিশোধসহ ১১ দফা দাবি পূরণে গত ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় পাটকল শ্রমিকরা। এর মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা ২৫ নভেম্বর থেকে আন্দোলনে নামেন। এ আন্দোলনের মুখে অর্থ মন্ত্রণালয় সব মিলের বকেয়া মজুরি ও বেতন-ভাতা পরিশোধে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানায়। তবে এর পরও আন্দোলন অব্যাহত রাখে শ্রমিকরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গত মঙ্গলবার বেলা ২টা থেকে শ্রমিকরা নিজ নিজ মিল গেটে আমরণ অনশন শুরু করেন। এর মধ্যে গতকাল আ. সাত্তার মারা যান।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে আ. সাত্তার নামে এক শ্রমিককে হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
জানাযা শেষে আ. সাত্তারের মরদেহ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়। তার জানাযায় খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল সিবিএ-ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মো. মুরাদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মো. মুরাদ হোসেন বলেন, অনশনে অসুস্থ হয়ে শ্রমিক আ. সাত্তার মারা গেছেন। তিনি প্লাটিনাম জুট মিলের শ্রমিক। অনশনস্থলে এখনো অনেক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে আছেন।
রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল সিবিএ-ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান বলেন, শীত এবং অনাহারে অসুস্থ হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে।