খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আপিল বিভাগে খারিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ জামিন আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল আদেশ দেন।

আদেশে আদালত বলেন, সর্বসম্মতিক্রমে জামিন আবেদন খারিজ (ডিসমিসড) করা হলো। পর্যবেক্ষণে বলা হয়, যদি আবেদনকারী (খালেদা জিয়া) প্রয়োজনীয় সম্মতি দেন, তাহলে মেডিকেল বোর্ড দ্রুত তার অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্টের জন্য পদক্ষেপ নেবে, যা বোর্ড সুপারিশ করেছে।

মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর গতকালও আদালতে শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নাল আবেদীন।

শুনানির শুরুতে খালেদা জিয়ার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল বোর্ডের পাঠানো প্রতিবেদন আদালতের কাছে পেশ করেন।

এর আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দেয়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে হাইকোর্টে জামিন আবেদন খারিজ হলে গত ১৪ নভেম্বর আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া। জামিন আবেদনের শুনানিতে গত ২৮ নভেম্বর আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা সম্পর্কে জানাতে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেদিন প্রতিবেদন জমা না পড়ায় শুনানি পিছিয়ে গতকাল দিন ধার্য করা হয়। সেই শুনানিতে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ হয়ে গেছে।

আদালতের আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। জামিনের বিরোধিতা করে আমরা বলেছি, তিনি পৃথক মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত। কারা হেফাজতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার খালেদা জিয়ার সর্বাত্মক চিকিৎসা দিচ্ছে। খালেদা জিয়ার বেশকিছু শারীরিক সমস্যা আগে থেকেই ছিল। তার হাঁটুতে আগেই অস্ত্রোপচার হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে, তাতে দেখা যায় খালেদা জিয়ার অবস্থা

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন