দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। সঙ্গে ফেরার উপলক্ষ ছিল তারকা ওপেনার তামিম ইকবালেরও। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বিপিএলে দেশের ক্রিকেটের এ দুই বড় তারকার ফেরাটা মোটেই সুখকর হলো না। রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু করল তারকাবহুল ঢাকা প্লাটুন। আগে ব্যাট করতে নামা ঢাকাকে ৯ উইকেটে ১৩৪ রানে থামিয়ে দেয় আন্দ্রে রাসেলের দল। পরে ৯ উইকেট ও ১০ বল হাতে রেখে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজশাহী।
গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সহজ লক্ষ্যকে আরো সহজ বানিয়ে দেন রাজশাহীর দুই ওপেনার হজরতুল্লাহ জাজাই ও লিটন দাস। সবার চোখ ছিল দীর্ঘদিন পর বল হাতে ফেরা মাশরাফি বিন মর্তুজার দিকে। ছোট লক্ষ্য বাঁচাতে নেমে বল হাতে আশা জাগিয়েছেন মাশরাফি। উইকেট না পেলেও ৩ ওভারে দিয়েছেন ১৮ রান। এদিন রাজশাহীকে উদ্বোধনী জুটিতে ৬২ রান এনে দেন লিটন ও জাজাই। লিটনকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান। তবে বল হাতে ঢাকার প্রাপ্তি বলতে এটুকুই। আর কোনো বিপদ হতে না দিয়ে রাজশাহীকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন জাজাই ও শোয়েব মালিক। জাজাই অপরাজিত থাকেন ৪৭ এবং শোয়েব মালিক টিকে থাকেন ৩৬ বলে ৩৬ রান করে।
এর আগে টস জিতে ঢাকাকে আগে ব্যাট করতে পাঠায় রাজশাহী। দীর্ঘ বিরতি দিয়ে এ ম্যাচে ব্যাট হাতে নেমেছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু প্রত্যাবর্তনে ভালো করতে পারেননি এই বাঁ-হাতি ওপেনার। মাত্র ৫ রান করে ফিরে যান আবু জায়েদ রাহীর বলে। এনামুল হক বিজয় ও লরি ইভান্স মিলে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ৩৯ রানে ইভান্স ফিরে গেলে ফের চাপে পড়ে ঢাকা। ১৪ বলে ১৩ রান করা ইভান্সকে ফেরান ফরহাদ রেজা। এরপর এনামুলের সঙ্গে জুটি গড়েন জাকের আলী। তবে রানআউট হয়ে ফিরে যান জাকের (২১)। চটজলদি বিদায় নেন তাইজুল ইসলাম। বড় কিছু করার ইঙ্গিত দিয়ে ফিরে যান এনামুলও। ৩৩ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ রান করা এনামুলকে ফেরান অলক কাপালি।