উত্তাল আসামে পুলিশের গুলিতে নিহত ৩, সেনা মোতায়েন

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) নিয়ে বিক্ষোভে ফুঁসছে ভারতের আসাম রাজ্য। কারফিউ ভেঙে গুয়াহাটির রাস্তায় নেমে পড়েছে মানুষ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশের গুলিতে অন্তত ৩ জন বিক্ষোভকারী নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে আরো অনেকে। খবর এনডিটিভি।

এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে আসামের ১০টি জেলায় আরো ৪৮ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যের অন্তত চারটি স্থানে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যায় ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় সিএবি বিল পাস হয়। এর পরই আসামের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় বিক্ষোভ। বন্ধ রাখা হয় আসাম ও ত্রিপুরার ট্রেন চলাচল। বাতিল করা হয় গুয়াহাটি ও ডিব্রুগড়ের অনেক ফ্লাইট। এ অবস্থায় আসামের সব থেকে বড় শহর গুয়াহাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়।

সবাইকে আশ্বস্ত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে আসামবাসীর উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও আসামের বিক্ষুব্ধ এলাকাগুলোতে বুধবার থেকেই ইন্টারনেট সেবা বন্ধ। 

টুইটারে নরেন্দ্র্র মোদী অহমিয়া ভাষায় লেখেন, ‘সিএবি নিয়ে আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। কেউ আপনাদের অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না। ’ এছাড়া আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালও শান্তি বজায় রাখতে সাধারণ মানুষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। এক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘হাতে থাকা তথ্য অনুযায়ী, এ রাজ্যে পাঁচ লাখের বেশি অনুপ্রবেশকারীকে নাগরিকত্ব দেয়া হবে না। ফলে এখানকার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কোনো সঙ্কট দেখা দেবে না।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আজ সন্ধ্যার দিকে গুয়াহাটির লালুঙগাঁওয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্সে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। এক পর্যায়ে গুলি চালালে ৩ জন নিহত হন। আহত হন অনেকে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে, ছাবুয়ায় এক বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে ডিব্রুগড়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের (আএসএস) একটি কার্যালয়েও হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন