হুয়াওয়ের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মেং
ওয়াংঝুকে গ্রেফতারের সপক্ষে আরো তথ্যপ্রমাণ ও নথিপত্র হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন
কানাডার একটি আদালত। ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সুপ্রিম কোর্টের সহযোগী প্রধান বিচারপতি
হিদার হোমস রাজ্য সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেলকে মঙ্গলবার এসব তথ্যপ্রমাণ হাজির করার
নির্দেশ দেন। খবর রয়টার্স।
মেং ওয়াংঝুর আইনজীবীরা তার বিচারের
জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ ঠেকাতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা আদালতকে
বারবার বলে আসছেন, কানাডার এ পদক্ষেপের কোনো ভিত্তি নেই। এটি করা হচ্ছে সম্পূর্ণ
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা
এফবিআইয়ের হয়ে কানাডার পুলিশ মেংকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করেছে। তার বাড়িতে তল্লাশি
চালানো এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে
তার আটকের বিষয়ে আরো বিস্তারিত নথিপত্র প্রকাশ করতে কানাডার অ্যাটর্নি জেনারেলের
কাছে আবেদন করে হুয়াওয়ে। এ কারণে মঙ্গলবারের আদেশটিকে হুয়াওয়ের সম্ভাব্য উত্তরসূরি
মেংয়ের একটি বিজয় বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
মেংয়ের আইনজীবীরা বলছেন, নথিপত্রগুলো
প্রকাশ পেলে প্রকৃতপক্ষে বেআইনি এবং হয়রানির উদ্দেশ্যেই যে মেংকে গ্রেফতার করা
হয়েছে, তা স্পষ্ট হবে।
তবে বিচারক হিদার হোমস আদেশটি বেশ
সতর্কতার সঙ্গে দিয়েছেন। বর্তমানে জামিনে মুক্ত মেংয়ের পায়ে বাঁধা রয়েছে
ইলেকট্রনিক ট্র্যাকিং ডিভাইস। তার আইনজীবীদের অভিযোগ, কানাডা
কর্তৃপক্ষ এ ডিভাইস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের অপব্যবহার করছে। আদালত তার আদেশে এ
ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি।
আদেশের বিষয়ে কানাডার বিচার বিভাগ
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে,
অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতের এ আদেশ পর্যালোচনা
করছেন। আদেশ পরিপালনের ক্ষেত্রে তথ্য প্রকাশ জরুরি কিনা, সেটি
খতিয়ে দেখছেন তিনি।
তবে হুয়াওয়ে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য
দিতে রাজি হয়নি।
২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর ভ্যাঙ্কুভার
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হুয়াওয়ের সিএফও মেং ওয়াংঝুকে (৪৭)
গ্রেফতার করে কানাডার পুলিশ। যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে তাকে আটক করা হয়। মার্কিন
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন করাই তার অপরাধ। এরপর থেকে
তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের চেষ্টা চলছে।
গ্রেফতারের আগে কানাডার অভিবাসন
কর্তৃপক্ষ মেংকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। তার আইনজীবীরা এ আটকের সপক্ষে আরো নথিপত্র
দাবি করে আসছেন। বিচারপতি হিদার হোমসও বলেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের সরবরাহকৃত নথিতে
যথেষ্ট ফাঁকফোকর রয়েছে। তিনি নথিতে ঠিক কী তথ্য ভুল দিয়েছেন, তা
পরিষ্কার নয়।