স্মার্ট সিটি তৈরিতে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার তাগিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্মার্ট সিটি তৈরিতে প্রযুক্তিকে গ্রহণ করতে হবে। প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমেই দেশের শহরগুলোকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তর করা সম্ভব। তবে শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে শহরগুলোকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তর করা সম্ভব নয়। তাই স্মার্ট সিটি তৈরিতে চীন কিংবা বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশের মতো স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে হবে। আর শহরের নাগরিকরাই সিদ্ধান্ত নেবে তাদের জন্য কী কী প্রয়োজন। গতকাল পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত চায়না স্মার্ট সিটি এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড লেসনস ফর বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক . আহসান এইচ মনসুর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিআরআইয়ের চেয়ারম্যান . জাইদি সাত্তার। চাইনিজ স্মার্ট সিটি এক্সপেরিয়েন্স শীর্ষক মূল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন কিংডম ইঞ্জিন ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী লিং লিংয়াং। লেসনস ফ্রম চায়না ফর বাংলাদেশ স্মার্ট সিটি স্ট্র্যাটেজি শীর্ষক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন এটি ক্যাপিটালের ম্যানেজিং পার্টনার ইফতি ইসলাম। নির্ধারিত আলোচক ছিলেন ভিত্তি স্থপতিবৃন্দ লিমিটেডের আরবান ডিজাইনার ইকবাল হাবিব।

আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, একসময় উড়োজাহাজে উঠলে দেশে প্রচুর ঝুপড়ি দেখা যেত। সেগুলো এখন আর দেখা যায়। বেসরকারি খাত এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। দেশের আবাসন স্যানিটেশন ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। স্মার্ট সিটি তৈরি করতে হলে জেলা পর্যায়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

মূল প্রেজেন্টেশনে লিং লিংয়াং বলেন, স্মার্ট সিটি হলো সেই ধরনের শহর যেখানে সব কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা যায়। এছাড়া ধরনের শহরকে হতে হবে ক্যাশলেস। স্মার্ট সিটির আরেকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো শহরগুলোকে হতে হবে দুর্নীতিমুক্ত।

সভাপতির বক্তব্যে . আহসান এইচ মনসুর বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সবখানে অবদান রাখা সম্ভব নয়। শহরগুলোকে নিজেদের দায়িত্ব নিজেদেরই নিতে হবে।

ইকবাল হাবিব তার বক্তব্যে বলেন, স্মার্ট সিটি নির্মাণের আগে আমাদের মানুষকে স্মার্ট করতে হবে। এর জন্য তাদের সব উদ্যোগে সম্পৃক্ত সচেতন করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন