ইউনাইটেড পায়রা পাওয়ারের ৩৫% শেয়ার কিনবে কেপিসিএল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (কেপিসিএল) পটুয়াখালীতে নির্মাণাধীন এইচএফওভিত্তিক ১৫০ মেগাওয়াট সক্ষমতার ইউনাইটেড পায়রা পাওয়ার প্লান্ট লিমিটেডের ৩৫ শতাংশ শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় কেপিসিএলের পর্ষদ সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইউনাইটেড পায়রা পাওয়ার প্লান্টটির সম্ভাব্য বাণিজ্যিক উৎপাদনের তারিখ নির্ধারিত রয়েছে সামনের বছরের ২১ নভেম্বর। বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে চুক্তি অনুসারে বাণিজ্যিক উৎপাদনের তারিখ থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মেয়াদ হবে ১৫ বছর।

খুলনা পাওয়ারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে শেয়ার কেনা হবে। বছরের ২১ আগস্ট বিপিডিবির সঙ্গে ইউনাইটেড পায়রা পাওয়ার প্লান্টের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি হয়েছে এবং একই দিনে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বাস্তবায়ন চুক্তিও হয়েছে। অভিহিত মূল্যে ইউনাইটেড পায়রা পাওয়ার প্লান্টের ৩৫ শতাংশ শেয়ার কেনা হবে। তাছাড়া খুলনা পাওয়ারের রিজার্ভের অর্থ দিয়েই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির শেয়ার কেনা হবে।

উল্লেখ্য, খুলনার খালিশপুরে অবস্থিত ১১০ মেগাওয়াট সক্ষমতার এইচএফওভিত্তিক কেপিসিএল- বার্জ মাউন্টেড বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মেয়াদ গত বছরের ১২ অক্টোবর শেষ হয়। কেন্দ্রটির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হলেও এখনো পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। খুলনার খালিশপুরে অবস্থিত ১১৫ মেগাওয়াট সক্ষমতার এইচএফওভিত্তিক কেপিসিএল- বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২১ সালের জুন। আর যশোরের নোয়াপাড়ায় অবস্থিত ৪০ মেগাওয়াট সক্ষমতার এইচএফওভিত্তিক কেপিসিএল- বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২১ সালের ২৯ মে। এরই মধ্যে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং দুই বছরের মধ্যে আরো দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার বিষয়টি ব্যবসায়িকভাবে কেপিসিএলকে চাপে ফেলে দেয়। অবস্থায় কোম্পানিটিকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসে এর অন্যতম করপোরেট উদ্যোক্তা ইউনাইটেড গ্রুপ। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ইউনাইটেড গ্রুপের মালিকানাধীন ইউনাইটেড পায়রা পাওয়ার প্লান্টের ৩৫ শতাংশ শেয়ার কেপিসিএলের কাছে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সর্বশেষ সমাপ্ত ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কেপিসিএল। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির রাজস্ব হয়েছে ৮৩৫ কোটি টাকা, যা এর আগের হিসাব বছরে ছিল হাজার ২০৯ কোটি টাকা। সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১৩৯ কোটি টাকা, যা এর আগের হিসাব বছরে ছিল ২২৩ কোটি টাকা।

সমাপ্ত হিসাব বছরে কেপিসিএলের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে টাকা ৫০ পয়সা। আগের হিসাব বছরে ইপিএস ছিল টাকা ১৮ পয়সা। হিসাবে সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে টাকা ৬৮ পয়সা বা ৪৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এর কারণ হিসেবে কোম্পানিটি জানিয়েছে, তাদের তিনটি বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিটের মধ্যে ১১০ মেগাওয়াটের কেপিসিএল- বিদ্যুৎকেন্দ্রটি গত বছরের ১৩ অক্টোবর থেকেই উৎপাদনে নেই। এছাড়া বোনাস শেয়ার ইস্যুর কারণে কোম্পানিটির শেয়ার ক্যাপিটালের পরিমাণও বেড়েছে। মূলত এসব কারণেই সমাপ্ত হিসাব বছরে ইপিএস কমেছে কেপিসিএলের।

৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ২০ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২৬ টাকা ৮৭ পয়সা। ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৩০ শতাংশ নগদ ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় কেপিসিএল।

সর্বশেষ রেটিং অনুসারে কেপিসিএলের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদেট্রিপল স্বল্পমেয়াদেএসটি-ওয়ান ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নিরীক্ষিত চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)

১৯৯৭ সালে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন