এশিয়া-প্যাসিফিক সম্মেলনে বক্তারা

সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারে টেকসই হতে পারে অর্থনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো অর্থায়ন ঘাটতি। বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর সবাইকে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। বৈশ্বিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার অর্থায়ন ঘাটতিসহ এসডিজি অর্জনের অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাকে সহজ করতে পারে। গতকাল এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অনুষ্ঠিত বিষয়ভিত্তিক অধিবেশনে অভিমত প্রকাশ করেন বক্তারা।

আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) শতবর্ষ আইসিসি বাংলাদেশের (আইসিসিবি) ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায়দি এশিয়া-প্যাসিফিক কনফারেন্স অন ফিন্যান্সিং ইনক্লুসিভ অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টশীর্ষক তিন দিনব্যাপী সম্মেলনটির আয়োজকদের মধ্যে আইসিসি বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোস্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (ইউএনএসকাপ), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ট্রেড ফিন্যান্স প্রোগ্রাম (টিএফপি) এবং লন্ডন ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকিং অ্যান্ড ফিন্যান্স।

গত ১০ ডিসেম্বর উদ্বোধনী অধিবেশনের পর গতকাল দিনব্যাপী তিনটি বিষয়ভিত্তিক প্লেনারি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম অধিবেশনের প্রতিপাদ্য ছিলইনক্লুসিভ ফিন্যান্সিং ফর এসডিজিস ইন এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। প্রতিপাদ্য বিষয়ে সূচনা বক্তব্য দেন ইউএনএসকাপের সেক্রেটারি জেনারেল আরমিডা সালসিয়া আলিশজাবানা। আলোচকদের মধ্যে ছিলেন কম্বোডিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার বান চান্থি, শ্রীলংকার ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজি, হায়ার এডুকেশন, টেকনোলজি অ্যান্ড এডুকেশনস মন্ত্রী বান্দুলা গুনাভার্দেনা, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, নেপালের ন্যাশনাল প্ল্যানিং কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান পুষ্পা রাজ কাদেল, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের সাবেক সিইও মোহাম্মদ আলী তসলিম এবং এডিবি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন পারকাশ।

গতকাল দিনের প্রথম অধিবেশনে বক্তাদের মধ্য থেকে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে ক্ষুদ্র মাঝারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বলে অভিমত প্রকাশ করা হয়।

মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে চাইলে দুদিকে গুরুত্ব দিয়ে বিনিয়োগ করতে হবে। প্রথমত, কিছু ক্ষেত্রকে বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎসাহিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, কিছু ক্ষেত্রে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে হবে। এমন ক্ষেত্রগুলোতে বিনিয়োগ করতে হবে যেন একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষও তাতে যুক্ত হতে পারে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।

গতকাল দিনের দ্বিতীয় প্লেনারি অধিবেশনটির প্রতিপাদ্য ছিলইনক্লুসিভ ফিন্যান্সিং ফর এসডিজিস ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী। অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি একটি বৈশ্বিক এজেন্ডা এবং এখনো তা এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য চ্যালেঞ্জের।  এশিয়ায় আর্থিক অবকাঠামো এখনো সমস্যার মধ্যে রয়ে গেছে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

দ্বিতীয় তৃতীয় অধিবেশনের মাঝে দুটি করে বিশেষ সেশন সাইড ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। একটি সেশনে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। সূচনা বক্তব্য রাখেন আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান। সভাপতির বক্তব্যে সালমান ফজলুর রহমান এসডিজি অর্জনে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

গতকাল দিনের শেষ প্লেনারি অধিবেশনের প্রতিপাদ্য ছিলইনক্লুসিভ অ্যান্ড সাসটেইনেবল ফিন্যান্সিং: রিস্কস অ্যান্ড অপরচুনিটিজ ফর দ্য ব্যাংকিং সেক্টর টেকসই অর্থনীতি নিশ্চিত করতে সম্পদ ভাগ করে এর সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে অভিমত প্রকাশ করা হয় অধিবেশনে। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন