এবারের মৌসুমে কফির বৈশ্বিক উৎপাদন কমে আসার পূর্বাভাস করেছে খাতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এদিকে পানীয় পণ্যটির বৈশ্বিক চাহিদা রেকর্ড পরিমাণ বাড়তে পারে। এতে সরবরাহ সংকটের আশঙ্কায় কয়েক দিন ধরে চাঙ্গা রয়েছে আন্তর্জাতিক কফির বাজার। এ ধারাবাহিকতায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল একচেঞ্জে (আইসিই) মঙ্গলবার কার্যদিবসে প্রতি পাউন্ড কফির দাম ২ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। বাড়তির দিকে রয়েছে রোবাস্তা কফির ও চিনির দামও। খবর বিজনেস রেকর্ডার।
আইসিইর মঙ্গলবার কার্যদিবস শেষে মার্চে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি পাউন্ড অ্যারাবিকা কফির গড় দাম দাঁড়িয়েছে ১ ডলার ৩২ সেন্ট, যা আগের দিনের তুলনায় ৩ দশমিক ৩ সেন্ট বা ২ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এ কার্যদিবসের একপর্যায়ে পণ্যটির দাম পাউন্ডপ্রতি ১ ডলার ৩৩ সেন্টে উন্নীত হয়, যা ২০১৮ সালের জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ।
একই দিনে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে রোবাস্তা কফির দাম বেড়ে প্রতি টন ১ হাজার ৪৫৭ ডলারে বেচাকেনা হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় ৫৬ ডলার বা ৪ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
মাত্রাতিরিক্ত শুষ্ক আবহাওয়ার জেরে এবার বিশ্বের শীর্ষ অ্যারাবিকা কফির উৎপাদক ব্রাজিলে পণ্যটির উৎপাদন কমবে। এদিকে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে উৎপাদিত কফি নিম্নমানের হতে পারে। একই অবস্থা বিদ্যমান রয়েছে মধ্য আমেরিকা ও কলম্বিয়ায়। এতে উচ্চমানের কফির সরবরাহ সংকটের কারণে আইসিই নিবন্ধিত গুদামগুলোয় পানীয় পণ্যটির মজুদ বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। মার্চে পণ্যটির মজুদ ছিল ২৫ লাখ ব্যাগ (প্রতি ব্যাগে ৬০ কেজি)। এই মুহূর্তে মজুদ কমে দাঁড়িয়েছে ২১ লাখ ব্যাগে।
যাহোক, আইসিইর মঙ্গলবার কার্যদিবসে প্রতি পাউন্ড চিনি বিক্রি হয়েছে ১৩ দশমিক ৪০ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় দশমিক শূন্য ২ সেন্ট বা দশমিক ২ শতাংশ বেশি।