নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যখন গণহত্যার অভিযোগের শুনানি চলছে, তখন প্রায় ১০০ রোহিঙ্গাকে দেশটির এক আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। খবর এএফপি।
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পাথেইনের এক আদালতে পুলিশ ভ্যান থেকে একে একে ক্লান্ত বন্দিদের নামানো হয়েছে। তাদের অপরাধ হচ্ছে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নিজেদের শহর ছেড়ে অন্য শহরে গিয়েছিলেন।
স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও জীবনধারণের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধাবঞ্চিত হয়ে রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে বসবাস করতে হয়। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের গৃহীত নীতিকে ‘বর্ণবাদ’ হিসেবে অভিহিত করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
বছরের পর বছর ধরে রোহিঙ্গারা নৌকা, ট্রেন ও বাসে করে রাখাইন থেকে পালানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং এ রকম চেষ্টা করতে গিয়ে নিজেদের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে ফেলেছে।
ভালো জীবনের সন্ধানে ওই ৯৫ রোহিঙ্গা কয়েকশ ডলার ব্যয় করেছেন বলে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী থাজিন মিয়াত মিয়াত। দালালদের অর্থ জোগান দিতে তাদের কেউ কেউ আগাম শ্রম বিক্রি করেছেন।
ভালো জীবনের সন্ধানে রাখাইন ছেড়ে যাওয়ার কারণে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে দুবছরের জেল সাজার সামনে দাঁড়িয়েছেন ওই রোহিঙ্গারা।