সাকিব ৪১তম বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি পড়ছেন গত অর্থবছর দেশের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৮ দশমিক ১ শতাংশ। অন্যদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক প্রকাশিত সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ ২০১৬-১৭ অনুযায়ী, দেশে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৬ লাখ ৭৭ হাজার। এর মধ্যে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ১০ লাখ ৪৩ হাজার (৪০ শতাংশ)। একটু বিষণ্ন হয়ে ভাবছেন এর মধ্যে তিনিও রয়েছেন। ভাবছেন কিছু না হলে নিজেই নিজের কর্মসংস্থান করে ফেলবেন। এটা শুধু সাকিবই নন, দেশের প্রায় কর্মক্ষম ব্যক্তিই হয়তো এমনটি ভাবছেন। কথা হলো, এ আত্মকর্মসংস্থান দিয়ে চলমান বেকারত্ব সমস্যার কতটুকুইবা সমাধান করা সম্ভব। আর বর্তমানে দেশে বেকারত্ব দূরীকরণে বিভিন্ন কৌশলের একটু গভীর বিশ্লেষণ প্রয়োজন।
কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাংলাদেশের প্রচলিত কৌশল
বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রচলিত বিভিন্ন কৌশল ও ধারণাগুলো জানা যায় ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চিন্তা ও বাজার অর্থনীতিই এ রাষ্ট্রের ভিত্তি উল্লেখ করে এ দলিলে বাংলাদেশে উন্নয়নের বিভিন্ন কৌশল বর্ণনা করা হয়েছে। দলিল অনুযায়ী নিম্নোক্ত উপায়ে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা হবে—
ষ উৎপাদন ও সেবা খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি
ষ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ব্যাপক প্রচলন
ষ আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি
পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশের বর্তমান সরকার এটা স্বীকার করে নিয়েছে যে, ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি ছাড়া দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য সরকার কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য উৎপাদনশীল খাত, যেমন পুতুল তৈরি, ফার্নিচার, পাদুকা শিল্পসহ অন্যান্য ভোগ্যসামগ্রী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বেছে নিয়েছে। সেই সঙ্গে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দারিদ্র্য বিমোচনে প্রধান ভূমিকা পালন করবে বলে ধরে নেয়া হয়েছে। তাছাড়া আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য রফতানি খাতের গুরুত্ব কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অব্যাহতভাবে ভূমিকা রাখবে। এবার একটি উদাহরণ দেয়া যাক—
ধরুন, জমি থেকে একজন কৃষক একটি ‘শসা’ কোনো ধরনের প্রক্রিয়া না করে ভোক্তার কাছে বিক্রি করেন ৫ টাকায়। অন্যজন সেই ‘শসা’ একটু প্রক্রিয়া করে প্যাকেটে বিক্রি করছেন ১০ টাকায়। উভয় ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হলেও দ্বিতীয় ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীবনযাত্রার মান বাড়বে বেশি। কারণ প্রক্রিয়াজাত শসায় পলিব্যাগ, লবণ, প্রক্রিয়ায় ব্যবহূত যন্ত্রপাতি ব্যয় বাবদ ওই খাতগুলোয় কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে প্রভাব ফেলবে (সার ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ ছাড়া)। অন্যদিকে অপ্রক্রিয়াজাত শসায় শুধু কৃষকেরই কর্মসংস্থান হবে (সার ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ ছাড়া)। এ বিষয়কে সংক্ষেপে শিল্প বলে। এ থেকে এই ধারণায় উপনীত হওয়া যায় যে যত বেশি শিল্পায়ন তত বেশি কর্মসংস্থান। আর ভারী শিল্পায়নের ফলে অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্ভব। ভারী শিল্প বলতে যেসব খাত রয়েছে, তার মধ্যে সামরিক সরঞ্জাম, মোটরযান, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, খনিজ সম্পদ উত্তোলন অন্যতম।
বাংলাদেশ ও বিশ্বে উল্লিখিত ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেয়া প্রতিষ্ঠান ও তাদের মাধ্যমে সৃষ্ট কর্মসংস্থানের একটি চিত্র দেয়া হলো: বোয়িং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামরিক সরঞ্জাম বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীর