১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল, তা জাতিসংঘে এখনো স্বীকৃতি পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থায় নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
গতকাল (যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময়) নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘গণহত্যা প্রতিরোধ ও এই অপরাধের শাস্তি প্রদান এবং গণহত্যার শিকার মানুষের মর্যাদা ও স্মরণ এবং এই অপরাধ প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক দিবস’ বিষয়ক কনভেনশনের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে জাতিসংঘ। ওই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন। গতকাল জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দিবসটি উপলক্ষে দেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণীর অংশবিশেষ উদ্ধৃত করে রাবাব ফাতিমা বলেন, পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে চলমান বা ভবিষ্যতে যেকোনো গণহত্যা প্রতিরোধ ও মোকাবিলার ক্ষেত্রে সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রতি আমাদের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে আজ তা নবায়নের দিন।
বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল, তা স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, এটি ছিল মানব ইতিহাসের ভয়াবহতম গণহত্যার একটি। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, গণহত্যার আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে এটি সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি এবং জাতিসংঘে এখনো তা স্বীকৃতি পায়নি।
তিনি বলেন, জাতি হিসেবে আমরা ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন তাদের স্মরণসহ গণহত্যার শিকার বিশ্বের সব মানুষকে এই দিনটিতে আমরা স্মরণ করি।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের এই স্থায়ী প্রতিনিধি এ প্রসঙ্গে ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যে ভয়াবহ নৃশংসতা সংঘটিত হয়েছে তাও উল্লেখ করেন।
