বড় ধরনের আর্থিক মন্দা কাটিয়ে বিশ্বের প্রায় অধিকাংশ দেশ এখন উন্নয়ন ভাবনায় নতুনত্ব আনছে। বাংলাদেশের সম্ভাবনার সবটুকু কাজে লাগাতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। আগামীর বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে পাল্লা দিতে একমাত্র কারিগরি শিক্ষাই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারে বলে ভাবছেন বিশ্লেষকরা। এর মাধ্যমে বদলে যেতে পারে এ দেশের অর্থনীতির সার্বিক চিত্র। রাজধানীতে গতকাল সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘বৈশ্বিক উন্নয়ন প্রেক্ষিত: উন্নয়নে নতুন কৌশল’ শীর্ষক বার্ষিক বক্তৃতায় বিশ্ব অর্থনীতির পর্যবেক্ষক ও প্যারিসের ওইপিডি ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক ড. মারিও পেজ্জিনি বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে এমন ভাবনা তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সাবেক অর্থমন্ত্রী মো. সাইদুজ্জামান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে দ্রুতগতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও নানাবিধ চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে ড. পেজ্জিনি বলেন, ১৯৯০ সালের পর বিশ্ব অর্থনীতিতে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রভাব বাড়তে শুরু করে। চীন ও ভারতের মতো দেশ সেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কিন্তু দারিদ্র্য হারের চিত্র দেখলে খেয়াল করবেন, সংখ্যায় বিশ্বের অর্ধেক দরিদ্র লোক বাস করে ভারত, নাইজেরিয়া, কঙ্গো, ইথিওপিয়া ও বাংলাদেশ—এই পাঁচটি দেশে। শুধু জিডিপির প্রবৃদ্ধি সবসময় সুষম উন্নয়ন নির্দেশ করে না।
তিনি আরো বলেন, ২০১৬ সালে জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে বিশ্বের ৬২টি দেশ। ২০১৮ সালে যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৩৪টিতে। বোঝাই যাচ্ছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে সবাই নতুন নতুন পরিকল্পনা করছে। এখন সারা বিশ্বের ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, এমন কোনো না কোনো দেশে বসবাস করছে।
এ সময় বেকারত্ব নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলে উন্নয়ন ভাবনা ফলপ্রসূ হওয়া কঠিন হবে এমন অভিমত দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনসম্পদকে কাজে লাগাতে হলে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। এই কারিগরি শিক্ষাই বাংলাদেশকে বদলে দিতে পারে।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে সাবেক অর্থমন্ত্রী মো. সাইদুজ্জামান বলেন, এশিয়ায় উন্নয়ন প্রেক্ষিতে বর্তমান সময়ে আলোচিত একটি নাম ভিয়েতনাম। শৃঙ্খলা ও বিদেশী বিনিয়োগের মাধ্যমে তারা এ