পিটার
হ্যান্ডকে ২০১৯ সালে সাহিত্যে নোবেল দেয়ার কড়া সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট
রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের বক্তৃতায় এরদোগান বলেন, কোন বর্ণবাদী
ব্যক্তিকে নোবেল দেয়ার মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘনকেই নোবেল দেয়া হয়েছে। খবর আনাদোলু
এজেন্সি।
১৯৯৫
সালে সংগঠিত বসনিয়া গণহত্যা অস্বীকারের অভিযোগ রয়েছে হ্যান্ডকের বিরুদ্ধে। এছাড়া বলকানের
কসাই হিসেবে পরিচিত সার্ব নেতা স্লোবেদান মিলোসেভিচের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন হ্যান্ডকে।
হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে যুদ্ধাপরাধের বিচার চলাকালে ২০০৬ সালে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ
করেন সার্বিয়ার নেতা মিলোসেভিচ।
১৯৯৮-১৯৯৯
সালে কসোভো যুদ্ধ চলাকালে হ্যান্ডকে লিখেছিলেন, যদি সার্বদের সমর্থন করো তাহলে আওয়াজ
তোলো। তিনি দাবি করেন সারায়েভোর বসনিয়ান মুসলিমরা নিজেরা নিজেদেরকে হত্যা করেছে। তিনি
আরো বলেন, স্রেব্রেনিকায় সার্বরা গণহত্যা করেছে, এটা তিনি বিশ্বাস করেন না।
যুদ্ধাপরাধের
বিচার চলাকালে কারাগারে মিলোসেভিচের সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলেন এবং তার পক্ষে সাক্ষ্য
দিয়েছিলেন হ্যান্ডকে। ২০০৬ সালে মিলোসেভিচের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে হ্যান্ডকে
বলেছিলেন, আমি যুগোস্লাভিয়ার জন্য এখানে এসেছি, সার্বিয়ার জন্য এসেছি, এসেছি মিলোসেভিচের
জন্য।
হ্যান্ডকের
মতো মুসলিমবিদ্বেষী এবং গণহত্যার নায়কের সমর্থককে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের কড়া সমালোচনা
করেন এরদোগান।