স্বল্প প্রস্তুতির কারণে নেপাল এসএ গেমসে বাংলাদেশকে নিয়ে শঙ্কা-সংশয় ছিল। কারাতে ও তায়কোয়ান্দো আগেই নিশ্চিত করেছে—প্রাপ্তির খাতাটা শূন্য থাকছে না। ভারোত্তোলন ও নারী ক্রিকেট লাল-সবুজদের পদক তালিকা সমৃদ্ধ করেছে। শেষটা রাঙিয়ে দিল আরচারি ও ছেলেদের ক্রিকেট।
সবকিছুর যোগফলে এক আসরে সর্বোচ্চ সাফল্যের তৃপ্তি নিয়ে নেপাল থেকে ফিরবে বাংলাদেশ কন্টিনজেন্ট। আরচারির ১০ ইভেন্টের মধ্যে শতভাগ স্বর্ণপদক নিশ্চিত করার মাধ্যমে ২০১০ সালের ১৮ স্বর্ণপদকের রেকর্ড ছুঁয়েছে বাংলাদেশ। ছেলেদের ক্রিকেটে শ্রীলংকাকে হারানোর মাধ্যমে সে সাফল্যকে ছাড়িয়ে গেছে লাল-সবুজরা। নেপালের কাঠমান্ডু ও পোখারায় আয়োজিত গেমসে বাংলাদেশের অর্জন ১৯ স্বর্ণপদক।
২০১০ সালে ঢাকায় আয়োজিত আসরের আগে ১৩ মাস প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মধ্যে ছিলেন অ্যাথলিটরা। বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের অ্যাথলিটদের প্রশিক্ষণের জন্য দেশের বাইরেও পাঠানো হয়েছিল। এবারের আসরের আগে প্রশিক্ষণ হয়েছে পাঁচ-ছয় মাস। স্বল্প প্রস্তুতির পরও এ সাফল্যর নেপথ্য হিসেবে দেখা হচ্ছে যুব বাংলাদেশ গেমস ও বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) পরিচালিত প্রতিভা অন্বেষা কার্যক্রমকে।
‘আমরা প্রথমবারের মতো যুব বাংলাদেশ গেমস আয়োজন করেছি। ওই গেমসে খেলা অনেক অ্যাথলিট পরবর্তী সময়ে লম্বা সময়ের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মধ্যে ছিলেন। তাদের অনেকেই এসএ গেমসে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে খেলেছেন। আমরা এ গেমস চালিয়ে গেলে দেশের ক্রীড়াঙ্গন সমৃদ্ধ হবে’—বলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। গেমসে দেশের সেরা সাফল্য বয়ে আনায় অ্যাথলিট, কোচ, কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ দিয়েছেন বিওএ মহাসচিব।
এসএ গেমসে বাংলাদেশের হয়ে এক ডিসিপ্লিনে সর্বোচ্চ সাফল্যের নতুন রেকর্ড গড়েছে আরচারি দল। ১৯৯৩ সালে ঢাকায় আয়োজিত আসরে সর্বোচ্চ সাতটি স্বর্ণপদক এসেছিল শুটিং থেকে। এবার তার চেয়ে তিনটি স্বর্ণ বেশি পেয়েছে আরচারি ডিসিপ্লিন। একই সঙ্গে গেমস ইতিহাসেও এসেছে সর্বোচ্চ সাফল্য। আগের দিন দলগত ৬ ইভেন্টে স্বর্ণ জয় করে রেকর্ডের কাছে চলে এসেছিলেন তীরন্দাজরা। গতকাল ব্যক্তিগত ইভেন্টের বাকি চারটি স্বর্ণপদক নিশ্চিত করার মাধ্যমে সেই রেকর্ড স্পর্শ করে বাংলাদেশ। পরবর্তী সময়ে ছেলেদের ক্রিকেটের স্বর্ণপদক জয়ের মাধ্যমে সাফল্যর দিক থেকে ২০১০ সালের ঢাকার আসরকে ছাপিয়ে গেছে নেপালের আয়োজন।
সাফল্যের পথে অনন্য কীর্তি গড়েছেন রোমান সানা, ইতি খাতুন ও সোহেল রানা। তিনজনই ব্যক্তিগত, দলগত ও মিশ্র দলগত ইভেন্টে স্বর্ণ জয় করে ট্রেবলের
- স্বপ্নচারী এমবাপ্পের হাত ধরে স্বপ্ন জেগেছে প্যারিসে
- সুনীল নারাইনের সেঞ্চুরিতে কলকাতার ২২৩ রান
- বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচ হলেন মুশতাক আহমেদ
- আইপিএলে ১ মে ম্যাচ খেলে দেশে ফিরবেন মুস্তাফিজ
- বার্সার মাঠে জয়ের আশায় নামছে পিএসজি
- আইপিএলে নিজেদের রানের রেকর্ড ভাঙল সানরাইজার্স