বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ১ হাজার ৭৭০ জন কৃষকের কাছ থেকে সরকারিভাবে আমন ধান সংগ্রহ করা হবে।
উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকার ২৬ হাজার কৃষকের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে ১ হাজার ১৭০ জন কৃষককে নির্বাচন করা হয়। গতকাল বেলা ১১টায় ধুনট খাদ্যগুদাম প্রাঙ্গণে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে আমন ধান সংগ্রহের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতি কৃষকের কাছ থেকে এক টন করে মোট ১ হাজার ৭৭০ টন আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি ধানের সরকারি দাম ধরা হয়েছে ২৬ টাকা। সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে আমন ধান সংগ্রহের কার্যক্রম আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা, ধুনট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহসীন আলম, ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাসানুল হাছিব, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুর রহমান আকন্দ, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা দীপ্তি রানী রায়, ধুনট উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সেকেন্দার রবিউল ইসলাম, ধুনট খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, ধুনট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাল মিয়া, উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস ছোবহান, ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বাহাদুর আলী, মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক ও উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম চান প্রমুখ।
এদিকে সিরাজগঞ্জে জেলায় চলতি বছর ৯ হাজার ৭৮৭ টন আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে লটারির মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ শেষ হয়েছে।
জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, সিরাজগঞ্জে চলতি বছর ৯ হাজার ৭৮৭ টন আমন ধান সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাড়াশ উপজেলায় ২ হাজার ৪৫২ টন আমন ধান সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া রায়গঞ্জে ২ হাজার ৩১২, কাজীপুরে ১ হাজার ৮৩২, সদরে ১ হাজার ১৮০, উল্লাপাড়ায় ৯৬৫, শাহজাদপুরে ২২৪, বেলকুচিতে ১১৮, কামারখন্দ ৪১৬ ও চৌহালী উপজেলায় ২৬৮ টন আমন ধান সংগ্রহ করা হবে। আমন সংগ্রহ অভিযান গত ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে। চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, প্রথমবারের মতো এবার কৃষকদের কাছ থেকে আমন ধান সংগ্রহ করছে সরকার। প্রকৃত কৃষকদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে কৃষক বাছাই 
