সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি লিমিটেডের ৩৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ২৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে শায়লা স্কয়ারে (হাউজ নং-৩০, রোড নং-১) অনুষ্ঠিত হবে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, ওইদিন বেলা ১১টায় পাঁচলাইশে কোম্পানিটির রেজিস্টার্ড ও করপোরেট অফিস প্রাঙ্গণে এজিএম হওয়ার কথা ছিল। এজিএমের স্থান ও সময় পরিবর্তন হলেও এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ২১ নভেম্বর অপরিবর্তিত রয়েছে।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য উদ্যোক্তা-পরিচালক বাদে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের পরিচালনা পর্ষদ। উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে কোম্পানিটির ১ কোটি ২৬ লাখ ২২ হাজার ৫০০ শেয়ার রয়েছে। সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা মোট ২৫ কোটি ২৪ লাখ ৫০০ টাকার নগদ লভ্যাংশ পাবেন।
সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২৬ পয়সা। ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৪ টাকা ৫৭ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৪ টাকা ৫৮ পয়সা।
এদিকে অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ইপিএস হয়েছে ১০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৬৫ পয়সা।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরেও ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। ২০১৭ হিসাব বছরের জন্য ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। তার আগে ২০১৬ হিসাব বছরে ২৫ শতাংশ নগদ এবং ২০১৫ হিসাব বছরে ১৫ শতাংশ নগদ ও ২৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৯৬ টাকা ৭০ পয়সা। সমাপনী দর ছিল ৯৬ টাকা ৬০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৯০ ও ২৪৫ টাকা।
প্রসঙ্গত, চিটাগং ভেজিটেবল অয়েল নামে ১৯৯০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় বর্তমান সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি। ফুলকপি ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেল ও গোল্ড কাপ ব্র্যান্ডের বাটার অয়েল ছিল তাদের মূল পণ্য। সে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে না পেরে ২০১৪ সালের এপ্রিলে কোম্পানিটি কনডেনসেট ফ্র্যাকশনেশনে যায়। চিটাগং ভেজিটেবল অয়েল কোম্পানি আগে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের অন্তর্ভুক্ত থাকলেও সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল নাম নেয়ার পর তা জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে চলে যায়।