একান্ত সাক্ষাৎকেরে সিলেট চেম্বার সভাপতি

প্রবাসীদের মধ্যে ভীতি আছে তা দূর করতে হবে

সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আবু তাহের মো. শোয়েব। দায়িত্ব নিয়েছেন প্রায় দুই মাস হতে চলল। সিলেটে প্রত্যাশিত বিনিয়োগ না হওয়া, ব্যবসার সংকট কাটাতে তার পরিকল্পনা, চেম্বারের কার্যক্রমএসব বিষয় নিয়ে বণিক বার্তার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎকের নিয়েছেন সিলেট প্রতিনিধি দেবাশীষ দেবু।

নানা জটিলতার পর আপনি চেম্বারের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দুই মাস কেমন কাটল?

প্রথম দুই মাস আমরা প্রচুর সভা-মতবিনিময় করেছি। সরকারের মন্ত্রী, প্রশাসনের কর্মকর্তা, দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারী, ব্যাংক, আয়কর বিভাগের কর্মকর্তাসহ অনেকের সঙ্গেই বসেছি। এখানকার ব্যবসায়ীদের সমস্যা সম্ভাবনাগুলো তাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। সংকট কাটাতে তারা যেন উদ্যোগী আরো আন্তরিক হন চেষ্টা চালাচ্ছি।

এছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছি। সিলেটে অনেক ব্যবসায়ীই একে অন্যকে চেনেন না। দূরত্ব ঘোচানোর চেষ্টা করছি। তাতে একের সমস্যা অন্যে জানতে পারবেন এবং সহযোগিতা করতে পারবেন।

সিলেটে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণে আপনাদের পরিকল্পনা কী?

আমরা ২০২০ সালে একটা বিজনেস সামিট করার পরিকল্পনা করছি। এরই মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেও প্রস্তাবনা দিয়েছি।

সামিটের উদ্দেশ্য, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সিলেটের সম্ভাবনাগুলো বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরা। সিলেটের অন্যতম বাণিজ্য হচ্ছে পণ্য আমদানি। কয়লা-চুনাপাথর ইত্যাদি ভারত থেকে আমদানি করেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। তবে ভারতের পরিবেশগত কারণে এটি এখন ঝিমিয়ে পড়েছে। তাই বিকল্প খুঁজে বের করতে না পারলে সিলেটে ব্যবসার ভবিষ্যৎ খুব খারাপ। পর্যটন, শিক্ষা, আইটিসহ আরো কিছু খাতে বিনিয়োগ উত্কৃষ্ট বিকল্প হতে পারে। সিলেটে একটি হাইটেক পার্ক হচ্ছে। এটি একটি বড় সম্ভাবনাময় দিক হতে পারে। এটাকে কাজে লাগাতে হবে। এগুলো নিয়েই সামিটে আলোচনা হবে। তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য সেখানে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এখানকার সমস্যা-সংকট নিয়েও কথা হবে।

চেম্বারের গত কমিটিও সিলেটে একটি এনআরবি সম্মেলন করেছিল। প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যের কথা বলেই সে সম্মেলন করা হয়েছিল। কিন্তু সিলেটে প্রবাসী কোনো বিনিয়োগ আসেনি।

ওই বিষয়টা আমি ভালো বলতে পারব না। কারণ আমি তখন ছিলাম না। এছাড়া সব মিলিয়ে বিনিয়োগ করার মতো পরিবেশ নিশ্চিতও করা যায়নি। প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করা যায়নি। আমরা এসব ব্যাপারেও চেষ্টা করছি।

কিন্তু সিলেটের প্রবাসীরা তো এখন উল্টো দেশে থাকা তাদের সম্পদ বিক্রি করে দিচ্ছেন...

হ্যাঁ, অনেক প্রবাসী সম্পদ বিক্রি করে দিচ্ছেন। এটা সিলেটের জন্য বড় আশঙ্কার বিষয়। চতুর্থ প্রজন্মের প্রবাসীরা সেখানে ভালো অবস্থান করে নিয়েছেন। তারা সেখানকার আরাম-আয়েশ ছেড়ে এখানে আসতে চাইছেন না। প্রবাসীদের মধ্যে ভীতিও আছে। তাদের ভীতি দূর করতে হবে। আপনি লক্ষ করবেন, কয়েক বছর ধরে সিলেটে জমির দাম কমে যাচ্ছে। কারণ প্রবাসীরা আর জমি কিনছেন না, বরং বিক্রি করে দিচ্ছেন। আমেরিকা-ইংল্যান্ড প্রবাসীরা এখন আর দেশে টাকা পাঠান না। এখন কেবল মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীরা টাকা পাঠান। ইউরোপ-আমেরিকায় থাকা নতুন প্রজন্মের প্রবাসীদের দেশমুখী করাই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যেও প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রবাসীদের পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে চেম্বার সহযোগিতা করবে।

বাইরে থেকে আসার বদলে অনেক ক্ষেত্রে তো দেশ থেকেই টাকা বাইরে চলে যাচ্ছে...

শিক্ষা চিকিৎসা খাতে প্রতি বছর অনেক টাকা বাইরে চলে যাচ্ছে। ব্যাপারেও আমরা উদ্যোগ

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন