জলবায়ু নীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দূষণকারী কোম্পানিগুলো

বণিক বার্তা ডেস্ক

কার্বননির্ভর কোম্পানিগুলো ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যমান খোয়াতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে বিভিন্ন নীতি গ্রহণের ফলে কোম্পানিগুলো লোকসানে পড়তে পারে। খবর বিবিসি।

অন্যদিকে কার্বন নীতি গ্রহণে সবচেয়ে অগ্রসর কোম্পানিগুলোর মূল্যমান বাড়তে পারে ৩৩ শতাংশ। জাতিসংঘ সমর্থিত প্রিন্সিপলস ফর রেসপন্সিবল ইনভেস্টমেন্ট (পিআরআই) এক পূর্বাভাসে তথ্য জানায়।

জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক কোম্পানিগুলো বিবিসিকে বলছে, তারা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নিজেদের ব্যবসা কার্যক্রম খাপ খাওয়াতে শুরু করেছে। তবে পিআরআইয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, বড় খাতগুলোর মধ্যেই বিজয়ী বা পরাজিতরা নির্ধারিত হবে।

ভিভিড ইকোনমিকসের গবেষণায় বলা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক গাড়িতে (ইভি) দ্রুত রূপান্তরের কারণে গাড়ি নির্মাতাদের মূল্য ১০৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। যেসব গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি ইভিতে রূপান্তরে গড়িমসি করবে, সেসবের মূল্য হ্রাস পাবে। জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজেলচালিত গাড়ি সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে।

জলবায়ু নীতি বাস্তবায়িত হলে কয়লানির্ভর কোম্পানিগুলো বড় ধাক্কা খাবে। বিশ্বের শীর্ষ কয়লা কোম্পানিগুলো ৪৪ শতাংশ এবং শীর্ষ ১০টি তেল গ্যাস কোম্পানি ৩১ শতাংশ মূল্যমান হারাতে পারে।

নবায়নযোগ্য পণ্যের ওপর জোর দেয়ার ফলে ইলেকট্রিক ইউটিলিটিজের মূল্য ১০৪ শতাংশ বাড়তে পারে। রূপান্তর তত্পরতা চালিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পণ্য উত্তোলনকারী মাইনারদের মূল্য ৫৪ শতাংশ বাড়বে। অন্যদিকে গ্রিন মিনারেলসের অল্প নিয়ন্ত্রণ থাকা কোম্পানিগুলোর মূল্য অর্ধেকে নেমে আসবে।

টেকসই বায়ুফুয়েলে মনোযোগ বৃদ্ধি নন-বিফ আমিষের জোগানদানকারী কৃষি কোম্পানিগুলোর অন্তত ১০ শতাংশ মূল্য বাড়তে পারে। চাপের মধ্যে থাকা কৃষি খাতের মধ্যে রয়েছে গবাদিপশু খাত, যা বন ধ্বংসের ওপর নির্ভর করে ১৫ থেকে ৪৩ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে।

উপরের উপাত্তগুলোর বেশির ভাগই অনুমাননির্ভর, তবে সংকটের ভয়াবহতার ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতিবিদদের থেকে ভালো জবাব আসা জরুরি। জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে রাজনৈতিক অগ্রগতির বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ।

বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যে খুব চাপে আছে, যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মার্ক কারনির মন্তব্যে তা উঠে এসেছে। তিনি মনে করেন, যেসব কোম্পানি জলবায়ু পরিবর্তনকে অবজ্ঞা করবে, তারা দেউলিয়া হয়ে যাবে।

এরই মধ্যে কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে বীমা সুবিধা দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে কিছু বীমা কোম্পানি। উদাহরণস্বরূপ, নতুন কয়লা নির্মাণ প্রকল্পে বীমা সুবিধা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বীমা জায়ান্ট অ্যাক্সা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) যেসব কয়লা খনিতে বীমা বিনিয়োগ রয়েছে, তা ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে তারা।

মাইক থলেন নামে অয়েল অ্যান্ড গ্যাস ইউকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, যেসব প্রধান তেল গ্যাস কোম্পানিকে লক্ষ্য করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে, তারা এরই মধ্যে কার্বন ফুটফ্রিন্ট কমানো শুরু করেছে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়িয়ে ব্যবসায় বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছে।

তিনি আরো বলেন, আগামী কয়েক দশকেও তেল গ্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি মিশ্রণ হিসেবে থাকবে এবং বৈশ্বিক জ্বালানি চাহিদা পূরণে এর ব্যবহার অব্যাহত থাকবে, তবে

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন