অলিম্পিকের পর সংকোচনে পড়তে পারে জাপানের অর্থনীতি

বণিক বার্তা ডেস্ক

২০২০ সালে টোকিও অলিম্পিককে কেন্দ্র করে জাপানের অর্থনীতিতে কিছুটা চাঙ্গাভাব দেখা দিয়েছে। তবে ওই আয়োজন শেষ হওয়ার পরই অর্থনীতি সংকুচিত হবে বলে জাপানের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো আশঙ্কা করছে। তাই অস্থিরতায় ভোগা অর্থনীতিকে সাহায্য করতে আরো প্রণোদনামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে তারা। খবর জাপান টুডে রয়টার্স।

মার্কিন-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ বৈশ্বিক শ্লথগতির কবলে পড়ে বিপাকে রয়েছে জাপানের রফতানিনির্ভর অর্থনীতি। সর্বশেষ প্রান্তিকের তথ্যে দেখা গেছে, বিশ্বের তৃতীয় সর্ববৃহৎ অর্থনীতিটি আরো শ্লথগতিতে পড়েছে। অনেক বাজার বিশ্লেষক বাজি ধরে বলেছেন, চলমান প্রান্তিকে সংকোচনে পড়বে অর্থনীতিটি। কেননা গত অক্টোবরে বিক্রয় কর থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে এবং এতে ভোগব্যয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

রয়টার্সের পরিচালিত জরিপে অংশ নেয়া বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে জাপানের অর্থনীতি সংকুচিত হবে দশমিক শতাংশ। এরপর আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রবৃদ্ধি হবে দশমিক শতাংশ। তবে এরপর অলিম্পিককে কেন্দ্র করে জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি বাড়বে দশমিক শতাংশ। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২০২০ সালের শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির হার অর্ধেক কমে যাবে।

রয়টার্স করপোরেট সার্ভেতে দেখা গেছে, জাপানের অর্থনীতি নিয়ে স্বস্তিতে নেই জাপানিজ কোম্পানিগুলো। জরিপে অংশ নেয়াদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ মনে করছে, অলিম্পিকের পর অর্থনীতি সংকুচিত হবে। এটি নির্দেশ করছে যে বাজার প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল ব্যবসায়িক ব্যয় বিনিয়োগের দেখা যেতে পারে।

অন্যদিকে প্রায় ৬৫ শতাংশ জাপান সরকারের কাছে অর্থনীতির সংকোচন ঠেকাতে নতুন প্রণোদনা পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন জানিয়েছে।

একটি ট্রান্সপোর্ট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ম্যানেজার বলছেন, জাপানের অর্থনীতি এরই মধ্যে মন্দায় পড়েছে। অলিম্পিকের পর বেসরকারি ভোগের বড় পতন দেখার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। 

আরেক সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ম্যানেজার বলছেন, অলিম্পিককে কেন্দ্র করে অর্থনীতিতে যে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে, তা স্বল্প মেয়াদে মন্দা ঠেকাতে পারে। কিন্তু প্রণোদনা পদক্ষেপ ছাড়া সব খাতই বিপাকে পড়তে পারে।

অর্থনীতিকে সহায়তা করতে এবং বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামাল দেয়ার জন্য অবকাঠামো নির্মাণে এরই মধ্যে ১২ হাজার কোটি ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে জাপান সরকার। বেসরকারি খাত অন্যান্য ব্যয় মিলিয়ে প্যাকেজের আকার দাঁড়াতে পারে ২৩ হাজার কোটি ডলারে। তবে ব্যবসায়ীরা আরো প্রণোদনা চাচ্ছেন।

২০১২ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ক্ষমতায় আসার পর তার নেয়া মুদ্রানীতি শিথিলকরণ, সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি কাঠামোগত সংস্কার পদক্ষেপ জাপানের অর্থনীতিকে বড় ধরনের সাহায্য করছিল।

কিন্তু এসব পদক্ষেপের কারণে যে ইতিবাচক উদ্দীপনা তৈরি হয়েছিল, তা দ্রুতই হারিয়ে যায়। বড় ধরনের  মুদ্রা রাজস্ব প্রণোদনা ব্যাংক অব জাপানের মূল্যস্ফীতির শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এতে আগামী মন্দা ঠেকানোর জন্য নীতিনির্ধারকদের হাতে খুব কমই অস্ত্র রয়েছে।

তবে জরিপে অংশ নেয়া অনেকে প্রণোদনা চাননি। তারা অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন