অধিক লাভজনক হতে শীর্ষ ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে ব্যাপক রদবদল করতে যাচ্ছে এইচএসবিসি। পরবর্তী শীর্ষ নির্বাহীর জন্য পথ খুলে দিতে এ পরিবর্তনগুলো আনা হচ্ছে। খবর দ্য ন্যাশনাল।
বিষয় সম্পর্কে অবগত কয়েকটি সূত্র বলছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ব্যাংকটির চিফ রিস্ক অফিসার ও পরিচালনা পর্ষদ সদস্য মার্ক মোজেস। দক্ষ এ হিসাবরক্ষকের জায়গায় বসতে যাচ্ছেন পাম কাউর, যিনি এর আগে পাইকারি বাজার ও ক্রেডিট রিস্ক বিভাগের প্রধান ছিলেন।
লন্ডনভিত্তিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি তাদের বিনিয়োগ ব্যাংকের নেতৃত্ব ভাগাভাগির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সামির আসাফ সরে গেলে বিভাগটি যৌথভাবে পরিচালনা করবেন গ্রেগরি গিউয়েট ও জর্জেস ইলহেদেরি। গিউয়েট বর্তমানে এইচএসবিসির গ্লোবাল ব্যাংকিংয়ের প্রধান এবং ইলহেদেরি নেতৃত্ব দিচ্ছেন গ্লোবাল মার্কেটস বিজনেসের।
গত আগস্টে সাবেক প্রধান নির্বাহী জন ফ্লিন্টের অপসারণের পর মোজেসের প্রস্থান হতে যাচ্ছে সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ কোনো পদধারীর অপসারণ। তাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়ে চেয়ারম্যান মার্ক টাকার বলছেন, জটিল ব্যবসায় পরিস্থিতি মোকাবেলায় খাপ খাইয়ে নিতে নেতৃত্বে পরিবর্তন জরুরি। ফ্লিন্টের অপসারণের আগে থেকেই মোজেসের অপসারণ নিয়ে কাজ চলছিল এবং তার স্থলাভিষিক্ত হতে বেশ কয়েক মাস ধরেই পাম কাউর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানায় একটি সূত্র।
ফ্লিন্টের অপসারণের পর অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব গ্রহণ করা নোয়েল কুইন পুরো ব্যবসায় কার্যক্রম পর্যালোচনা করে দেখছেন। স্থায়ী ভিত্তিতে শীর্ষ পদে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তিনি এবং ওই পদের জন্য তিনি অগ্রগামীদের একজন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। গত অক্টোবরে এক অভ্যন্তরীণ ভিডিওতে কর্মীদের উদ্দেশে তাকে বলতে শোনা গেছে, ‘অন্তর্বর্তীকালীন’ প্রধান নির্বাহীর চেয়েও তিনি বেশি কিছু।
তিনি বলেন, আমাকে শুধু অন্তর্বর্তীকালীন সিইও নয়, বরং ব্যাংকের সিইও হিসেবেই ব্যবসা পরিচালনা করতে বলা হয়েছে।
এইচএসবিসির নতুন কৌশলপত্রের একটি হবে এশিয়ায় অধিক মনোযোগ দেয়া, কারণ এখানেই শেয়ারহোল্ডারদের বিনিয়োগের ভালো মুনাফা নিশ্চিত করা সম্ভব। এইচএসবিসির চেয়ারম্যান টাকার সম্প্রতি কোম্পানির অভ্যন্তরীণ এ বৈঠকে জানান, সাম্প্রতিক মাসগুলোয় ব্যাংকের ৩০ শতাংশেরও বেশি মূলধন ১ শতাংশের কম মুনাফা দিচ্ছে।
ব্যাংকটি এরই মধ্যে ফরাসি রিটেইল ইউনিটটি বাতিল করার ইঙ্গিত দিয়েছে। এতে আট হাজারের মতো কর্মী চাকরি হারাতে পারেন। একই সঙ্গে ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ইকুইটিজ সেলস অ্যান্ড ট্রেডিং ইউনিটও গুটিয়ে ফেলা হচ্ছে বলে জানায় বিষয় সম্পর্কে অবগত সূত্রগুলো।