মালয়েশিয়ায় অপহরণ করে দেশে স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় ও খুনের সঙ্গে জড়িত একটি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির টিএইচবি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন জানিয়েছেন, টেকনাফ থেকে এ চক্রের দুজন ও মালয়েশীয় পুলিশের সহযোগিতায় সেখান থেকে আরো তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের দেশে ফেরাতে মালয়েশিয়া দূতাবাসের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, নোয়াখালী চরফকিরার কৃষক পরিবারের সন্তান আব্দুল কাদেরের (৩৫) সঙ্গে ১৫ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় কাজ করতেন টেকনাফের নোয়াখালীপাড়ার তাছিন, নূর উদ্দিন ও হামিদ হোসেন। গত অক্টোবরের শেষ দিকে কাদেরকে মালয়েশিয়াতেই অপহরণ করেন তাছিন, করিম উল্ল্যাহ ও হামিদ। কাদেরের সঙ্গে থাকা ৫ হাজার রিঙ্গিত ছিনিয়ে নেন তারা। এরপর কাদেরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
গত ৩০ অক্টোবর বিকাশে ১ লাখ টাকা দেয় কাদেরর পরিবার। কিন্তু এক সপ্তাহ পার হলেও কাদেরের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ না দেয়ায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেয় তার পরিবার। মামলাও করেন তারা। একাধিক অভিযানের পর গ্রেফতার করা হয় বিকাশের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণকারী টেকনাফের নোয়াখালীপাড়ার ইসমত আরা বেগম ও বিকাশের এজেন্ট জাফর আহম্মেদকে।
সিআইডির টিএইচবি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন বণিক বার্তাকে বলেন, আব্দুল কাদেরকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় টেকনাফ থেকে দুজনকে ও মালয়েশীয় পুলিশের সহযোগিতায় সেখান থেকে আরো তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করার জন্য এরই মধ্যেই মালয়েশিয়া দূতাবাসের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়েছে। এ চক্রের সঙ্গে আরো কেউ জড়িত কিনা সে বিষয়েও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।