রেল মন্ত্রণালয়কে সংসদীয় কমিটি

ঠিকাদাররা যেন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করতে না পারেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

জেলা-উপজেলার আয়তন জনসংখ্যা অনুপাতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের সুপারিশ করেছে অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। গতকাল সংসদ ভবনে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে ঠিকাদাররা যাতে প্রকল্প কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করতে না পারেন সে বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়কে  সতর্ক থাকার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়। সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে।

সংসদীয় কমিটির সভাপতি আব্দুস শহীদের সভাপতিত্বে বৈঠবে কমিটির সদস্য চিফ হুইপ নূর--আলম চৌধুরী, আহসান আদেলুর রহমান এবং ওয়াসিকা আয়শা খান অংশ নেন।  বৈঠকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ৮৭টি চলমান প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়।এর মধ্যে কয়েকটি প্রকল্পে আর্থিক অগ্রগতির তুলনায় বাস্তব অগ্রগতি কম হওয়ায় সদস্যরা প্রশ্ন তুলেছেন।

বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ২৯ দশমিক ৮১ শতাংশ আর বাস্তব অগ্রগতি ১৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকার প্রকল্পের মধ্যে গত ৩০ জুন পর্যন্ত পুঞ্জিভূত ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার ৭০০ কোটি ১৯ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। গত অর্থবছরে (২০১৮-১৯) প্রকল্পের বরাদ্দের ৭৮ দশমিক শূণ্য শতাংশ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই সময় বাস্তব অগ্রগতি হয় দশমিক ৯৩ শতাংশ। এদিকে চলতি অর্থবছরে আর্থিক অগ্রগতি ২৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ আর বাস্তব অগ্রগতি ১৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। বৈঠকের কার্যপত্র থেকে আরো জানা গেছে, ২০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ ১৫০টি কোচ সংগ্রহ প্রকল্পে দুই বছরে ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ অর্থ ব্যয় হলেও প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি শূণ্য।

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি আব্দুস শহীদ সাংবাদিকদের বলেন, কিছু প্রকল্পে কাজের অগ্রগতির চেয়ে খরচ বেশি হওয়ার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে কোন কোন কাজে টেন্ডারের পর একটি অর্থের ছাড় দিতে হয় তার জন্য এমনটি হয়েছে। আমরা প্রকল্পের ব্যয় কাজের অগ্রগতির মধ্যে যাতে সামঞ্জস্য থাকে সেটা দেখতে বলেছি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন