ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দিকে তাকিয়ে কাজ করছে দুদক

ইকবাল মাহমুদ

দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান। স্নাতক স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পড়াশোনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগে। পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক নীতি বিশ্লেষণ উন্নয়নে বিশেষায়ণসহ অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে নীতি অধ্যয়নে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পিএইচডি সম্পন্ন করেন লোকপ্রশাসনে। ১৯৮১ সালে যোগ দেন সিভিল সার্ভিসে। ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব। সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, যোগাযোগ রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে। আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার তার রয়েছে বিস্তৃত অভিজ্ঞতা। আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস সামনে রেখে দুর্নীতি দমন প্রচেষ্টায় কাজের অভিজ্ঞতা, ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম, ঘুষ প্রতিরোধ, প্রকল্পে দুর্নীতি, নৈতিকতা-মূল্যবোধের জাগরণ, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সম্প্রতি তার সঙ্গে কথা হয় বণিক বার্তার।

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম এম মুসা জেসমিন মলি

দুদকের চেয়ারম্যান হিসেবে চার বছরের সময়কালে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

কাজের অভিজ্ঞতা পুরোপুরি সুখকর নয়; আবার একেবারে হতাশাজনক, তা- না। মাঝামাঝি একটা অবস্থা। তবে সত্য হলো, গত চার বছরে আমাদের নিরন্তর প্রচেষ্টা ছিল। মূলত দমনের চেয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধের প্রচেষ্টা বেশি ছিল। হাতেনাতে ঘুষ ধরার সংখ্যা বেড়েছে। এটি একটি প্রতিরোধের কাজ হয়েছে। অভিজ্ঞতা থেকে আরেকটি বিষয় মনে হয়েছে, আমাদের প্রজন্মের মানসিকতা পরিবর্তন করা খুবই কঠিন। আশা করি, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে মানসিকতার পরিবর্তন আসবে। এসডিজিতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এসডিজির প্রায় লক্ষ্যমাত্রাই তাদের লক্ষ্য করে নির্ধারণ করা হয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দিকে তাকিয়েই আমরা প্রতিরোধের কাজটি করছি এবং কাজটি বেশ জোরালোভাবে করছি। আমরা সেখানে সম্পদও বেশি বিনিয়োগ করছি। কাজেই আমাদের অভীষ্ট গোষ্ঠী (টার্গেট গ্রুপ) হলো পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা। তাদের আমরা যদি এখন মূল্যবোধ, নৈতিকতার কিছুটা ছোঁয়া দিতে পারি, তাদের মানসপটে যদি সুশিক্ষার বীজ বপন করতে পারিতাহলে পাঁচ-দশ বছর পর কিংবা ২০৩০ সালের পর যারা দেশের দায়িত্ব নেবে, সেই প্রজন্মকে আমরা একটি নৈতিকতার আবহে রাখতে পারব। তারা সুনাগরিক, সুকর্মকর্তা এবং সুব্যবসায়ী হিসেবে নিজস্ব পরিসর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি অবস্থান নেবে। এটি আমাদের এক ধরনের দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি অবস্থান  বলতে পারেন। সুতরাং সে ব্যাপারে আমরা কাজ করছি।

জানেন যে, আনুমানিক ২৮ হাজার স্কুলে সততা সংঘ গড়ে তুলেছি, প্রায় চার হাজার স্কুলে সততা স্টোর চালু করেছি। এগুলো মূলত চর্চা করার জন্য। তারা যাতে সততার চর্চা করে, রচনা প্রতিযোগিতা করে, বিতর্ক প্রতিযোগিতা করে, দুর্নীতিবিরোধী মূল্যবোধসংশ্লিষ্ট সাংস্কৃতিক আয়োজন করে, সেই ব্যবস্থা করে চলেছি। আমরা সেজন্য অর্থও দিয়েছি। আমরা আশা করছি, মানুষকে যদি প্রণোদিত করা যায়, মনের মধ্যে ছাপ ফেলা যায়, তাহলে দুর্নীতির মাত্রা কমবে।

আরেকটি বিষয়, আমরা রোল মডেল তৈরির চেষ্টা করছি। সমাজে যত বেশি ভালো রোল মডেল পাব, শিশুরা তাদেরই অনুসরণ করবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সাংবাদিকতা, ব্যবসা, আমলাতন্ত্র, রাজনীতিসহ সব ক্ষেত্রেই রোল মডেলের

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন