পাকিস্তানের চা আমদানি ২৮ শতাংশ কমেছে

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিশ্বের অন্যতম চা আমদানিকারক পাকিস্তানের আমদানি কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) দেশটির চা আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ দশমিক ১৬ শতাংশ কমেছে। পাকিস্তান ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে তথ্য জানানো হয়েছে। খবর এপিপি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে পাকিস্তানে চা আমদানির পরিমাণ ছিল ৬১ হাজার ৩০৯ টন। যার বিপরীতে দেশটির আমদানি বাবদ খরচ হয়েছে ১৪ কোটি ২৫ লাখ ৭১ হাজার ডলার। যেখানে গত বছরের একই সময়ে ১৯ কোটি ৮৪ লাখ ৬৮ হাজার ডলারে ৭৩ হাজার ৬১৬ টন চা আমদানি করে দেশটি।

আমদানি ব্যয়ের দিক থেকে রাশিয়ার পরই বিশ্বের শীর্ষ চা আমদানিকারক দেশ পাকিস্তান। অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে প্রতি বছর ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে চা আমদানি করে দেশটি। তবে বছর ভারত থেকেও দেশটির বাজারে চায়ের রফতানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে। দুই দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা চলতি বছরে পাকিস্তানে চা রফতানি কমিয়েছে ভারত।

ভারতের চা বোর্ডের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম আট মাসে (জানুয়ারি-আগস্ট) পাকিস্তানে ৩১ লাখ ৪০ হাজার কেজি চা রফতানি হয়েছে, যা থেকে দেশটির আয় এসেছে ৪৮ লাখ ডলারের মতো। যেখানে গত বছরের একই সময়ে পাকিস্তানের বাজারে ভারতের রফতানি ছিল ৬১ লাখ ৭০ হাজার কেজি। আর সময়ে ভারতের আয় ছিল ৯০ লাখ ২০ হাজার ডলার। সেই হিসাবে পাকিস্তানের বাজারে ভারতের রফতানি প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে।

এদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে চায়ের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যের আমদানিও কমেছে পাকিস্তানের। এর মধ্যে চার মাসে দেশটির মসলা আমদানি দশমিক শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ৩৯৫ টনে। আর পাম অয়েল আমদানি কমেছে ১৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। সময়ে ৫০ কোটি ৬৫ লাখ ৯১ হাজার ডলার ব্যয়ে দেশটিতে লাখ ২৯ হাজার ৩৩১ টন পাম অয়েল আমদানি হয়েছে। তবে সময়ে বেড়েছে সয়াবিন তেলের আমদানি। চার মাসে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৪৮ হাজার ৪৮৯ টন সয়াবিন তেল আমদানি করেছে পাকিস্তান।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন