চীনভিত্তিক শাওমি ব্র্যান্ডের নকল পণ্যে বাজার সয়লাব হয়ে উঠেছে। খোদ প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ক্রেতাদের নকল শাওমি অ্যাকসেসরিজ ও গ্যাজেট বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। গত নভেম্বরে শাওমির অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতের দিল্লির পুলিশ একটি সুপারশপে অভিযান চালিয়ে দুই হাজারের বেশি নকল শাওমি পণ্য জব্দ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এক বিবৃতিতে ক্রেতাদের অনুমোদিত স্টোর, ব্র্যান্ড ও অংশীদার আউটলেট থেকে শাওমি পণ্য ক্রয়ের পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি শাওমি অ্যাকসেসরিজ ও গ্যাজেট ক্রয়ের পরিকল্পনা থাকলে ছয়টি বিষয় ভালোভাবে যাচাই করে নেয়ারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। শাওমি পণ্য ক্রয়ে যে ছয়টি বিষয় যাচাই করতে হবে, সেগুলো নিয়ে আজকের আয়োজন—
নিরাপত্তা
কোড: শাওমির অনেক পণ্যে নিরাপত্তা কোড দেয়া থাকে। কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি আসল কিনা, তা সহজে যাচাই করার সুবিধা দিতে এ নিরাপত্তা কোড ব্যবহার করা হয়। বিশেষত, শাওমির মি পাওয়ার ব্যাংক ক্রয়ের ক্ষেত্রে এ নিরাপত্তা কোড ব্যবহার করে পণ্যটি আসল না নকল, তা ‘mi.com’ থেকে যাচাই করে নেয়া যাবে।
প্যাকেজিং
ও রিটেইল
বক্স: সাধারণত আসল এবং নকল পণ্যের প্যাকেজিং ও রিটেইল বক্সের মান অনেক আলাদা হয়। শাওমি অ্যাকসেসরিজ এবং গ্যাজেট ক্রয়ের আগে পণ্যটির প্যাকেজিং ও রিটেইল বক্স ভালোভাবে পরখ করে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। প্যাকেজিং বা রিটেইল বক্স দুর্বল কিংবা আগে খোলা হয়েছে মনে হলে পণ্যটি নকল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যেসব আউটলেটে এ ধরনের পণ্য মিলবে, সেখান থেকে কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি না কেনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। শাওমি পণ্যের প্যাকেজিং ও রিটেইল বক্স বৈধ কিনা, তা যাচাইয়ের জন্য ক্রেতাদের ‘মি হোম কিংবা মি স্টোর’ ভিজিট করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মি লোগো: বহুজাতিক প্রত্যেকটি ব্র্যান্ডের পণ্যের গায়ে লোগো বসানো থাকে। শাওমির সব ধরনের পণ্যেও তাদের লোগো ব্যবহার করা হয়। তবে পণ্য ক্রয়ের আগে যাচাই করে নিতে হবে কাঙ্ক্ষিত পণ্যটির লোগো প্রকৃত কিনা। শুধু ভারতেই নয়; বাংলাদেশের বাজারেও শাওমির নকল পণ্যের ছড়াছড়ি। কাজেই স্মার্টফোন কিংবা শাওমির ব্র্যান্ডের অন্য কোনো অ্যাকসেসরিজ ও গ্যাজেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে ডিভাইসের গায়ে থাকা লোগোটি প্রকৃত কিনা, তা যাচাই করে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ডিভাইস সম্পর্কে সন্দেহ হলে আসল কিনা, তা ‘mi.com’ ভিজিট করে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
অ্যাপ যাচাই: শাওমির স্মার্ট ব্যান্ড