আইসিএফসি ২০১৯-এ বক্তারা

অর্থনৈতিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দরকার প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জও যুক্ত হচ্ছে। বিশেষ করে ব্যাংক শেয়ারবাজারসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় বড় ধরনের আর্থিক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। প্রযুক্তির কারণে আগের তুলনায় এখনকার আর্থিক অপরাধের ব্যাপ্তি প্রভাব অনেক বেশি। অর্থনৈতিক এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়। পাশাপাশি আর্থিক খাতের এসব অপরাধ বিষয়ে আমাদের নিজেদেরও অনেক বেশি সচেতন থাকতে হবে।

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) মিলনায়তনে গতকাল ফিন্যান্সিয়াল ক্রিমিনোলজি (আর্থিক অপরাধ) বিষয়ক দশম আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০১৯-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। ইউআইইউ মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মারার (ইউআইটিএম) অ্যাকাউন্টিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট যৌথভাবে সম্মেলনের আয়োজন করে। আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মিডিয়া পার্টনার বণিক বার্তা।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক . আতিউর রহমান। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমরা প্রযুক্তির ইতিবাচক ব্যবহারের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের ঝুঁকি মোকাবেলা করেই আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ধারাকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছি। ফলে দেশের আর্থিক খাত অনেকটাই মানবিক উদ্যোক্তাবান্ধব হতে পেরেছে। আর্থিক স্থিতিশীলতার স্বার্থেই আমাদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ধারাকে আরো জোরদার করতে হবে। ব্লক চেইনসহ অন্যান্য ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা ঝুঁকিমুক্ত আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ধারাকে আরো বেগবান করার প্রত্যাশা করছি। সেজন্য গবেষণা, সচেতনতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আরো বেশি সমন্বয় প্রয়োজন।

অর্থ পাচার আর্থিক অপরাধ দমনে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি রিপোর্টিং এজেন্সি বাড়ানো হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে, বিএফআইইউ এতে পেছন থেকে শক্তি জোগাচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হলো অপরাধ বা অপরাধী শনাক্তের পর বিচারিক প্রক্রিয়া অনেক ধীর। তাই আর্থিক খাতের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিচার ব্যবস্থাকে আরো বেশি সক্রিয় হতে হবে। এক্ষেত্রে বিএফআইইউ, দুর্নীতি দমন কমিশন, অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনএসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বড় ধরনের সমন্বয় দরকার। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক এনবিআরের মধ্যে প্রযুক্তিগত সমন্বয় দরকার বেশি। যেমন কোনো ব্যাংকে যখন এলসি খোলা হয়, যে পরিমাণ টাকায় এলসি খোলা হয়েছে, সে পরিমাণ পণ্য আনা হয়েছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব এনবিআরের। এজন্য ব্যাংক এনবিআরের মধ্যে অনলাইনে একটি

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন