আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা ত্যাগী ও দলের দুঃসময়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সুখে-দুঃখে দলের সঙ্গে ছিলেন; তারাই হবেন দলের নেতা। চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে গতকাল চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও রেলপথ মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এমএ সালামের পরিচালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, শিক্ষা উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এবং উপদপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত আওয়ামী লীগ চাই। বিশৃঙ্খলা চাই না। সুবিধাবাদীদের দলে চাই না। মৌসুমি ও অতিথি পাখিদের স্থান হবে না আওয়ামী লীগে। অতিথি পাখিরা সুসময়ে আসবে, দুঃসময়ে চলে যাবে। ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। তাদেরই নেতা বানানো হবে।
নিজের দল ভারী করার জন্য পকেট কমিটি যারা করবে, তাদের নেতা হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা মহানগরে যাদের নামে বেশি স্লোগান হয়েছে, যাদের নামে বেশি বিলবোর্ড উঠেছে, যাদের নামে বেশি পোস্টার সাঁটানো হয়েছে; তারা কেউ সভাপতি-সম্পাদক হতে পারেনি। কারো স্লোগানে আমরা নেতা বানাব না।
