আগের দিন ভুটানকে অলআউট করতে না পারায় হতাশ ছিল সৌম্য-শান্তরা। লক্ষ্য ছিল স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে দাপুটে জয় নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করা। কিন্তু সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের ফাইনালে ওঠার ম্যাচেও মন ভরাতে পারেনি বাংলাদেশ পুরুষ ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্স। এর পরও অবশ্য নেপালের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয় পেতে সমস্যা হয়নি। স্বাগতিকদের ১৫৬ রানের লক্ষ্য দিয়ে তাদের ১১১ রানেই থামিয়ে দিয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। বাংলাদেশের জয় ৪৪ রানে। সোমবার ফাইনালে স্বর্ণ জয়ের মিশনে শ্রীলংকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
লক্ষ্য হিসেবে ১৫৬ খুব বড় স্কোর নয়। কিন্তু অপেক্ষাকৃত দুর্বল নেপালের জন্য তা ছিল
পাহাড়সম। তার ওপর জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই পথ হারা স্বাগতিকরা। দলীয় ১১ রানে পরশ খাড়কাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন তানভীর ইসলাম। পরের বলেই পবন সরাফকে ফিরিয়ে দেন এই স্পিনার। ধাক্কা সামলানোর আগেই আরিফ শেখকে ফেরান সুমন খান। পবনের মতো আরিফও খুলতে পারেননি রানের খাতা। সেখান থেকে জ্ঞানেন্দ্র মাল্লা ও দিপেন্দ্র সিং মিলে দলকে নিয়ে যান ৪৬ রানে। ১৬ রান করা দিপেন্দ্রকে ফেরান সৌম্য। এরপর এক প্রান্তে জ্ঞানেন্দ্র টিকে থাকলেও অন্য প্রান্তে অব্যাহত থাকে উইকেট পতন। দলীয় ৬৬ রানে ফেরেন রোহিত পাওদেল। ৮ রান করা এ ব্যাটসম্যানকে ফেরান মেহেদী হাসান। একই বোলারের হাতে আউট হয়ে ফেরেন বিনোদ ভাণ্ডারি (৩)। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে নেপাল তোলে ১১১ রান। জ্ঞানেন্দ্র সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে সুমন, তানভীর, সৌম্য ও মেহেদী নেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ৭ রানেই পরশ ফিরিয়ে দেন নাঈম শেখকে (৬)। তার মতো ৬ রান করে আউট হয়ে যান সৌম্য। তখন দলের রান ১৬। এরপর কোনো রান না করেই আউট হয়ে যান সাইফ হাসান। এ দুজনকেও আউট করেন পরশ। ১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন রীতিমতো কাঁপছে বাংলাদেশ। এ সময় জুটি গড়েন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও ইয়াসির আলী। কিন্তু ইয়াসির বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি। দলীয় ৫৯ রানে ফেরেন এ ব্যাটসম্যান (১৪ রান)। বিপদে পড়ে সতর্কতার সঙ্গে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন শান্ত ও আফিফ হোসেন।