২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ১০টি মেশিন নিয়ে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চালু করা হয় ডায়ালাইসিস ইউনিট। এসব মেশিন দিয়ে তিন শিফটে সর্বোচ্চ ৩০ জনকে ডায়ালাইসিস করানো যায়। অথচ বর্তমানে এ হাসপাতালে দৈনিক সেবা নিতে আসে অন্তত অর্ধশত রোগী। ফলে ডায়ালাইসিস করাতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, দ্রুত সংকট সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ডায়ালাইসিস ইউনিটটি পরিচালনা করে আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ নেফ্রোলজি বিভাগ। বেগমগঞ্জ উপজেলায় স্থাপিত মেডিকেল কলেজটিতে কোনো হাসপাতাল না থাকায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালেই এ ইউনিট গড়ে তোলা হয়। এক বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এ ইউনিটে এ পর্যন্ত আট হাজার মানুষকে ডায়ালাইসিস করানো হয়েছে। প্রতিদিন তিন শিফটেই ডায়ালাইসিস করানো হয়। কখনো সংকটাপন্ন রোগীদের রাতে বিশেষ ব্যবস্থায় এ সেবা দেয়া হয়।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ডায়ালাইসিসের জন্য জনপ্রতি ফি নেয়া হয় ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা। অথচ বেসরকারি হাসপাতালে এ সেবা পেতে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা খরচ দিতে হয়। এ কারণে নোয়াখালীর পাশাপাশি ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লার লাকসামের রোগীরাও এখানে এসে ডায়ালাইসিস করায়। কম খরচ ও সেবার মান ভালো হওয়ায় এখানে রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তবে ডায়ালাইসিস মেশিন ও শয্যা সংকটের কারণে সবাইকে যথাসময়ে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে শুধু মেশিন ও শয্যা নয়, এ ইউনিটে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরও সংকট রয়েছে। এ কারণে অনেক সময় নার্সদেরই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে হয়।
ডায়ালাইসিস ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ ও নার্স সোহাগী ম্রং বণিক বার্তাকে বলেন, আমরা সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করি। এখানে কর্মরত প্রত্যেক নার্স রোগীদের স্বজন ভেবেই সেবা দেন। চিকিৎসা নিতে আসা কোনো রোগী বা তার স্বজনরা ইউনিটের চিকিৎসাসেবায় কোনো গাফলতি পাননি। তবে মেশিন, বেড ও লোকবল সংকট থাকায় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সেবা দিতে বেগ পেতে হয়। এ কারণে নার্সসহ অন্যান্য পদে লোকবল আরো বাড়ানো দরকার। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী।
হাতিয়া থেকে আসা জামাল উদ্দিন নামে একজন রোগী জানান, আগে তিনি ঢাকায় ডায়ালাইসিস করাতেন। এতে তার অর্থ সংকট দেখা দিয়েছে। একটি ব্যবসা ছিল তাও ছেড়ে দিয়েছেন। ডায়ালাইসিস করতে গিয়ে তিনি প্রায় নিঃস্ব। এ কারণে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে এসে