বরিশালে প্রবাসীর বাড়ি থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সকালে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর গ্রামের প্রবাসী হাফেজ আব্দুর রবের বাড়ি থেকে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন হাফেজ আব্দুর রবের মা মরিয়ম বেগম (৭৫), ভগ্নিপতি সাবেক স্কুলশিক্ষক সফিকুল আলম (৬৫) ও খালাতো ভাই মো. ইউসুফ (২২)।
পুলিশ জানায়, জমিজমা নিয়ে বিরোধ, ডাকাতি বা অন্য কোনো কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। তবে কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এ বিষয়ে সুনিশ্চিত কোনো তথ্য জানাতে পারেননি জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম।
এদিকে এ ঘটনায় জাকির হোসেন (৩৫) নামে এক কবিরাজকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বেলা ৩টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। আটক জাকির হোসেন নলছিটি উপজেলার সিদ্ধকাঠী ইউনিয়নের উত্তর রাজপাশা গ্রামের চুন্নু হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১১ বছর ধরে কুয়েত থাকেন হাফেজ আব্দুর রব। সেখানকার একটি মসজিদের ইমামতি করেন তিনি। রবের স্ত্রী মিসরাত জাহান মিশু দুই সন্তান ইফাদ জাহান (৯) ও নূরজাহানকে নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে ওই বাড়িতে বসবাস করছেন। তার বড় ছেলে ঢাকায় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। গত শুক্রবার রাতে ওই বাসায় ছিলেন মিসরাত ও তার দুই ছেলে, শাশুড়ি, ভাতিজি চাখার কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী আছিয়া আক্তার, রবের ভগ্নিপতি শফিকুল আলম ও খালাতো ভাই মো. ইউসুফ। ওই রাতে আছিয়ার সঙ্গে একই কক্ষে একই বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলেন বৃদ্ধা মরিয়ম। গতকাল ভোর ৫টার দিকে আছিয়া ফজরের নামাজ পড়তে ঘুম থেকে উঠে দাদিকে বিছানায় না পেয়ে খুঁজতে বেলকনিতে গিয়ে তার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তার চিত্কারে আশপাশের মানুষ এসে বাসার মধ্যে আরেকটি কক্ষে রবের ভগ্নিপতি শফিকুল আলমের ও বাড়ির সামনে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় ইউসুফের পা বাঁধা মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনটি মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন মিশরাত জাহান মিশু। তিনি বলেন, গ্রামের কারো সঙ্গে আমাদের বিরোধ নেই। দুর্বৃত্তরা তার কক্ষের আলমারি থেকে স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালপত্র নিয়ে গেছে দাবি করলেও তিনি কিছুই টের পাননি বলে জানিয়েছেন।
এদিকে তিনটি মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ