বৈশ্বিক দুগ্ধপণ্যের দাম ৩ মাসের সর্বনিম্নে

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিশ্বব্যাপী দুগ্ধপণ্যের চাহিদা কিছুটা কমেছে। যার প্রভাব পড়েছে দামের ওপর। চলতি মাসে বৈশ্বিক দুগ্ধপণ্যের বাণিজ্য বা জিডিটির প্রথম নিলামে মূল্যসূচক গড়ে দশমিক শতাংশ কমে প্রতি টনের গড় দাম দাঁড়িয়েছে হাজার ৪৬৭ মার্কিন ডলার, যা তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বৈশ্বিক দুগ্ধপণ্যের সবচেয়ে বড় নিলামে মূল্যসূচকের পরিবর্তন ঘটে। খবর রয়টার্স ফার্ম অনলাইন।

প্রতি মাসে দুবার বৈশ্বিক দুগ্ধপণ্যের বাজার নিয়ে সবচেয়ে বড় নিলাম বসে। নিউজিল্যান্ডের ফন্টেরা কো-অপারেটিভ গ্রুপ নিলামের আয়োজন করে। বিশ্বের বড় বড় সব দুগ্ধপণ্য প্রতিষ্ঠান নিলামে অংশ নেয়। সম্প্রতি মাসের প্রথম নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের নিলামে ১৭৯ জন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান যোগ দেয়। যার মধ্যে ১৩৫ জন সর্বোচ্চ দামে দুগ্ধপণ্য ক্রয় করতে সক্ষম হন। সর্বশেষ নিলামে মোট ৩৬ হাজার ২৫৮ টন দুগ্ধপণ্য বিক্রি হয়েছে। যেখানে এর আগের নিলামে বিক্রি হয় ৩৭ হাজার ৯৬৮ টন। সে হিসাবে এবারের নিলামে দুগ্ধপণ্যের বিক্রি কমেছে দশমিক শতাংশ।

জিডিটি নিলাম তথ্য অনুযায়ী, সময় নির্জলা দুধের মূল্যসূচক কমেছে দশমিক শতাংশ। মাখনের মূল্যসূচক কমেছে দশমিক শতাংশ। দুটি পণ্যের মূল্যসূচকের বড় পরিবর্তনের ফলে গড় মূল্যসূচক কিছুটা কমেছে। তবে অন্যান্য দুগ্ধপণ্যের দাম সময় ঊর্ধ্বমুখী ছিল।

সর্বশেষ নিলামে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে ননিযুক্ত গুঁড়ো দুধ। যদিও এটির দাম না কমলেও উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হয়নি। সময় ননিযুক্ত গুঁড়ো দুধের মূল্যসূচক শূন্য দশমিক শতাংশ বাড়ে। তবে ননিবিহীন গুঁড়ো দুধের মূল্যসূচক সময়ে দশমিক শতাংশ বেড়েছে।

জিডিটি তথ্য অনুযায়ী, এবারের নিলামে প্রতি টন ননিযুক্ত গুঁড়ো দুধ বিক্রি হয়েছে হাজার ৩৩১ ডলারে। যেখানে ননিবিহিন গুঁড়ো দুধের প্রতি টন বিক্রি হয়েছে হাজার ৬৮ ডলারে। রেনেট কেসেনের মূল্যসূচক দশমিক শতাংশ বেড়ে প্রতি টন বিক্রি হয়েছে হাজার ৪৭ ডলারে। পনিরের মূল্যসূচক দশমিক শতাংশ বেড়ে প্রতি টন বিক্রি হয়েছে হাজার ৭৯৭ ডলারে।

অন্যান্য দুগ্ধপণ্যের মধ্যে নির্জলা দুধের দাম কমে প্রতি টন বিক্রি হয়েছে হাজার ৮৪০ ডলারে। মাখনের দাম কমে টনপ্রতি বিক্রি হয়েছে হাজার ৯৮৩ ডলারে। তবে এবার ল্যাকটসের দামে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। সময় প্রতি টন ল্যাকটস বিক্রি হয়েছে ৭৭৯ ডলারে।

দুগ্ধপণ্যের বৈশ্বিক বাণিজ্যের এক-তৃতীয়াংশ নিয়ন্ত্রণ করে নিউজিল্যান্ড মিল্ক কো-অপারেটিভ। যে কারণে নিলাম নিউজিল্যান্ডের ডলারের ওপর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ দেশটির জিডিপির শতাংশ আসে দুগ্ধ খাত থেকে।

গত সেপ্টেম্বর থেকে বৈশ্বিক দুগ্ধপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল। গত মাসের সর্বশেষ নিলামেও দুগ্ধপণ্যের মূল্যসূচক দশমিক শতাংশ বাড়ে। তবে তিন মাসের মধ্যে এবারের নিলামে মূল্যসূচক কমে যাওয়ার জন্য নির্জলা দুধ এবং মাখনের চাহিদা মূল্যসূচক উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যাওয়াকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন নিউজিল্যান্ড

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন