নভেম্বরে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল মজুদ কমেছে ১০.৪%

বণিক বার্তা ডেস্ক

পাম অয়েল উৎপাদনে দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ মালয়েশিয়া। গত নভেম্বরে দেশটির পাম অয়েল উৎপাদন ১০ শতাংশ কমেছে। যার প্রভাব পড়েছে ভোজ্যতেলটির মজুদের ওপর। সময় দেশটিতে পাম অয়েলের মজুদ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ১০ দশমিক শতাংশ। খবর রয়টার্স।

এর আগে উৎপাদক, ব্যবসায়ী বিশ্লেষকের তথ্যের ভিত্তিতে করা রয়টার্সের জরিপ প্রতিবেদনে প্রাক্কলন হিসাবে বলা হয়, অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল মজুদ দশমিক শতাংশ কমে ২২ লাখ ২০ হাজার টনে হতে পারে। তবে মাসে উৎপাদন প্রাক্কলনের তুলনায় আরো বেশি কমে যাওয়ায় মজুদ টানা দ্বিতীয় মাসের মতো কমে ১৬ লাখ ১০ হাজার টনে এসেছে পৌঁছেছে। চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারির পর মাসেই সর্বোচ্চ মজুদ কমেছে। সে সময় মালয়েশিয়ার পাম অয়েলের মজুদ কমেছিল ১১ শতাংশ।

এদিকে উৎপাদন মজুদ কমার কারণে মাসে মালয়েশিয়ার রফতানিও কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে দেশটির রফতানি দশমিক শতাংশ কমে ১৫ লাখ ৬০ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে।

সিআইবিএম ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের গবেষক আইভি এনজি জানান, উৎপাদন কমে যাওয়ায় নভেম্বরে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল মজুদ কমেছে। একই কারণে কমেছে রফতানিও। তবে সময় চীনের বাজারে দেশটির রফতানি ৫৬ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু আফ্রিকা, ভারত ইউরোপের বাজারে রফতানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমায় মোট রফতানি কমেছে।

অন্যদিকে মালয়েশিয়ায় অভ্যন্তরীণ পাম অয়েলের ব্যবহার এখনো ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষ করে বায়োডিজেল খাতে পাম অয়েলের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার কারণে ভোজ্যতেলটির অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ছে, যা আগামী বছর আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শীর্ষ উৎপাদক ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়া আগামী বছর পাম অয়েল থেকে উৎপাদিত বায়োডিজেলের বাধ্যতামূলক ব্যবহারের হিস্যা বাড়াতে যাচ্ছে। ফলে দেশ দুটিতে আগামী বছর থেকে খাতে পাম অয়েলের বার্ষিক ব্যবহার বেড়ে যথাক্রমে বার্ষিক কোটি ১৩ লাখ টন হতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন