চীনকে ঋণ না দিতে বিশ্বব্যাংকের প্রতি ট্রাম্পের আহ্বান

বণিক বার্তা ডেস্ক

চীনকে ঋণ প্রদান বন্ধ করে দেয়ার জন্য বিশ্বব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের বিরোধিতা সত্ত্বেও বেইজিংকে ঋণ দেয়ার জন্য একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিশ্বব্যাংক। এর পরের দিনই আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। খবর গার্ডিয়ান রয়টার্স।

গত বৃহস্পতিবার নেয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত প্রতি বছর চীনকে স্বল্প সুদে ১০০ থেকে দেড়শ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। পরিকল্পনায় আগের পাঁচ বছরের গড় ১৮০ কোটি ডলার থেকে ঋণের হার ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে।

এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, কেন বিশ্বব্যাংক চীনকে ঋণ দিয়ে যাচ্ছে? এটা কি হতে পারে? চীনের অগাধ অর্থ রয়েছে এবং যদি তাদের না থাকে, তারা তা তৈরি করবে। কাজেই থামুন।

এদিকে রয়টার্সকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিশ্বব্যাংক বলছে, চীনকে বিশ্বব্যাংকের ঋণ প্রদান বহুলাংশে কমেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য শেয়ারহোল্ডারদের সঙ্গে করা আমাদের চুক্তি অনুসারে এটি আরো কমানো হবে। যেসব দেশ ক্রমেই ধনী হয়ে উঠেছে, তাদের ঋণ দেয়া আমরা কমিয়ে দিয়েছি।

তবে বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র।

৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৯ অর্থবছরে চীনকে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। ২০১৭ অর্থবছরে ঋণ দিয়েছিল ২৪০ কোটি ডলার।

চীনকে ঋণ দেয়া নিয়ে তার প্রশাসনের মনোভাবের পুনরাবৃত্তি করেছেন ট্রাম্প। বিশ্বব্যাংক চীনকে ঋণ দেয়া বড় আকারে কমালেও ট্রাম্প প্রশাসন তা যথেষ্ট মনে করছে না। তাদের দাবি, বেইজিং যথেষ্ট ধনী, তারা আন্তর্জাতিক ঋণ পেতে পারে না। বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে ডেভিড ম্যালপাস মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনিও মনে করতেন চীনের আন্তর্জাতিক ঋণের প্রয়োজন নেই।

অন্যদিকে চীনকে ঋণ দেয়া নিয়ে ট্রাম্পের বার্তা তার ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভেন মানিউচিনের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি। গত বৃহস্পতিবার হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস কমিটির সামনে দেয়া বক্তব্যে মানিউচিন জানান, চীনকে ঋণ দেয়া সেখানে প্রকল্প পরিচালনার জন্য বিশ্বব্যাংক যে কয়েক বছরের পরিকল্পনা করছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের জোরআপত্তিরয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার নতুন পরিকল্পনা নিয়ে বিশ্বব্যাংকের চীনা-বিষয়ক পরিচালক মার্টিন রেইজার বলেন, এটি চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বিবর্তনকে প্রতিফলিত করছে। আমাদের সম্পর্ক ক্রমবর্ধমান হারে নির্দিষ্ট হয়ে উঠবে।

১৫ ডিসেম্বর চীনা পণ্যের ওপর আরেক দফা শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই সময়ের আগে চীন যুক্তরাষ্ট্র একটি অন্তর্বর্তীকালীন বাণিজ্য চুক্তি করতে পারবে না বলে গত সপ্তাহে জোর উদ্বেগ দেখা দেয়।

ন্যাটো সম্মেলনে ট্রাম্প জানিয়েছেন, আগামী বছর নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে চীনের সঙ্গে চুক্তি করা নিয়ে তার তাড়াহুড়া নেই। তিনি বলেন, নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা ভালো হবে। যদিও চীন এখনই চুক্তি করতে চায়। ট্রাম্পের বক্তব্য বৈশ্বিক বাজারে উদ্বেগ বাড়িয়েছিল।

চীনে উইঘুর মুসলিমদেরনির্বিচার আটক, নিপীড়ন হয়রানি

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন