ইইউর বাণিজ্য প্রধান

ব্রেক্সিটসংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক সংকট সহজে কাটবে না

বণিক বার্তা ডেস্ক

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নবনিযুক্ত বাণিজ্য প্রধান ফিল হোগান ইঙ্গিত দিয়েছেন, ২০২০ সালের শেষ নাগাদ ব্রেক্সিট-পরবর্তী ব্রিটেন ইইউর মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি না- হতে পারে। তার এমন ইঙ্গিতে আরো স্পষ্ট হলো যে ইইউর জোটের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে চলমান টানাপড়েন সহজে শেষ হচ্ছে না। খবর ব্লুমবার্গ।

ফিল হোগান বলেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে কত সময় লাগতে পারে, তা নিয়ে এখনই আমরা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। আমরা সম্পূর্ণ অপরিচিত একটি পরিস্থিতিতে পড়তে যাচ্ছি।

ইইউর বাণিজ্য প্রধানের এমন ইঙ্গিত নির্দেশ করছে, আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জয়লাভ ৩১ জানুয়ারির সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই ব্রেক্সিট চুক্তির পক্ষে ব্রিটিশ সংসদের অনুমতি পেলেও যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বজায় থাকবে। আর এটি দেশটির অর্থনীতির জন্য মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়।

ব্রেক্সিট চুক্তির শর্ত অনুসারে, ২০২০ সালের শেষ পর্যন্তপরিবতর্ন কালহিসেবে অর্থনীতিতে স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে এবং পরিস্থিতি আরো দুই বছর চলতে পারে। সময় দুই পক্ষ অর্থাৎ ইইউ ব্রিটেন একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবে। পরিবর্তন কালের সময় বাড়ানো হবে কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে। হোগান বলেন, অনেক ব্রিটিশ পত্রিকা আমাকে উদ্ধৃত করে ইঙ্গিত দিয়েছে যে আমি বিশ্বাস করি, ২০২০ সাল শেষ হওয়ার আগেই একটি চুক্তি করা সম্ভব। আমি বলছি, মুহূর্তে ব্রিটিশ সরকারের যেটা সবচেয়ে বেশি করা উচিত, তা হলো সময়ের হিসাব না করে চুক্তির বিষয়বস্তুর ওপর নজর দেয়া।

বাণিজ্য চুক্তিটি বেশ কৌশলপূর্ণ কেননা উভয় পক্ষ একটি নিবিড় অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে চায়। এর পরও ইইউর সদস্য হিসেবে যেসব সুবিধা পাওয়া যেত, তার অনেকগুলোই পাওয়া যাবে না। জাপান কানাডার সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে ইইউর সময় লেগেছিল পাঁচ বছর। আর আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে উরুগুয়ের মারকসুর গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করতে সময় নিয়েছিল দুই দশক।

হোগান বলেন, মুক্ত বাণিজ্যে যুক্ত ছিল ইইউ যুক্তরাজ্য। বিষয়টি চুক্তি করার ক্ষেত্রে দুই পক্ষকে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, ব্রিটেন কী ধরনের বাণিজ্য চুক্তি চায়, তা নিয়ে এখনো আমরা সম্পূর্ণ অন্ধকারে রয়েছি। এজন্য ব্রিটেনের নতুন সরকারের উচিত হবে চুক্তির খসড়া দ্রুত তৈরি করা এবং আলোচনার প্রতিটি পর্যায়ে নিজেদের সব ধরনের স্বার্থের বিষয়গুলো তুলে ধরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন