যুক্তরাষ্ট্রকে ১২০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেবে এরিকসন

বণিক বার্তা ডেস্ক

ঘুষ প্রদানের মাধ্যমে অনৈতিক উপায়ে ব্যবসা পরিচালনার জন্য টেলিকম জায়ান্ট এরিকসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের তদন্তের ভিত্তিতে উত্থাপিত অভিযোগের মীমাংসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ১২০ কোটি ডলার দিতে সম্মত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তা না হলে মার্কিন ফেডারেল আদালতে আইনি লড়াই চালাতে হতো এরিকসনকে। খবর বিবিসি টেলিকম লিড।

অভিযোগে বলা হয়েছে, এরিকসন পাঁচটি দেশের টেলিকম খাতসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দীর্ঘ সময় ধরে ঘুষ দিয়ে আসছিল। এর মাধ্যমে সুইডিশ প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের টেলিকমিউনিকেশন ব্যবসার প্রসার ঘটাতে চেয়েছিল। তবে এরিকসনের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় টেলিকম খাতের মার্কিন কোম্পানিগুলো। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতাও মেলে।

এর জের ধরে নিউইয়র্কের আদালতে মামলা করা হয়। এরই মধ্যে এরিকসন ১২০ কোটি ডলার বা ৭৬ কোটি ইউরো ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসায় রাজি হয়েছে। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এর মধ্য দিয়ে এরিকসন দীর্ঘ আইনি লড়াই এড়িয়ে গেল। তবে প্রতিষ্ঠানটি টেলিকমিউনিকেশন ব্যবসার প্রসারে গৃহীত অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি পরোক্ষভাবে স্বীকার করে নিয়েছে।

নিউইয়র্কের আদালতে ফরেইন করাপ্ট প্র্যাক্টিসেস অ্যাক্টের (এফসিপিএ) আওতায় এরিকসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। আইনের আওতায় এত বড় অংকের ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির এটাই প্রথম ঘটনা। এর মধ্য থেকে ৫২ কোটি ডলার পাবে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস। ক্ষতিপূরণের বাকি অর্থ যাবে দেশটির সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে।

সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল জিওফ্রি এস বারম্যান বলেন, মার্কিন টেলিকম খাতের কোম্পানিগুলোর জন্য এটা বড় একটি অর্জন। এরিকসনের মতো বড় একটি কোম্পানি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ঘুষ কিংবা উপহার দেয়ার মতো অনৈতিক উপায় গ্রহণ করেছিল। এতে মার্কিন কোম্পানিগুলো সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন