‘রুম্পাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে’

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করছেন, তার বাবা রোকন উদ্দিন। আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন। তিনি বলেন,‘‘ রুম্পা যদি আত্মহত্যা করতে চাইত তাহলে বাড়িতেই করতে পারত। “আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সে আত্মহত্যা করতেই পারে না।

মোবাইল ফোন বাড়িতে রেখে যাওয়ার সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে তার বাবা বলেন, দুই মাস আগে রাজধানীর বেইলি রোডে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছিল রুম্পা। তার মোবাইল ফোনটি ছিনতাইকারী নিয়ে যায়। এর পর তাকে এই শর্তেই মোবাইল ফোন কিনে দেওয়া হয় যেন রাতে বাইরে গেলে মুঠোফোন যেন সঙ্গে না নেয়। বুধবার বাড়িতে মুঠোফোন রেখে যাওয়ার এটাই ছিল কারণ।

এই হত্যাকাণ্ডে কয়েকজনকে সন্দেহ করছেন বলেও জানান রুম্পার বাবা। তারা তার মেয়ের পরিচিতদের মধ্যে। চার পাঁচ জনের নাম তিনি তদন্তকারীদের কাছে দিয়েছেন।গত বুধবার রাতে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডে দুই ভবনের মাঝখানের এক গলি থেকে রুম্পার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আশপাশের কোনো ভবন থেকে পড়ে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করলেও সে সময় তার পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বজনরা মর্গে গিয়ে তার লাশ শনাক্ত করেন।

রুম্পা ঢাকার স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষে পড়তেন। মালিবাগের শান্তিবাগে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি। তার বাবা রোকনউদ্দিন হবিগঞ্জ জেলা পুলিশে কর্মরত। রুম্পার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন ওই থানার এসআই আবুল খায়ের।

তিনি বলেন, বুধবার সন্ধ্যার পর রুম্পা বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন। সঙ্গে নিজের মোবাইল ফোনও নেননি তিনি। উঁচু থেকে পড়ে শরীরের যে ধরনের জখম হয়, রুম্পার শরীরে সে ধরনের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা খায়ের।

ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার রাতেই রুম্পার লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে তার মৃত্যুর বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। এজন্য ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছে তারা। রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, “তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে এবং সেখানে কীভাবে তার মরদেহ পড়ে থাকল, সে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে এবিষয় বিস্তারিত জানা যাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন