কথা ছিল চার হাজার নতুন বাস দিয়ে ঢাকায় কোম্পানিভিত্তিক বাস ব্যবস্থা চালু হবে। ছয়টি কোম্পানির মাধ্যমে ২২টি রুটে পরিচালিত হবে বাসগুলো। কিন্তু নতুন বাস সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার অজুহাতে এ অবস্থান থেকে সরে এসেছে বাস রুট র্যাশনালাইজেশনের দায়িত্বে থাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
ডিএসসিসির কর্মকর্তা বলছেন, নতুন নয়, বিদ্যমান বাসগুলো দিয়েই কোম্পানি গঠন করা হবে। পাশাপাশি তারা এ-ও বলছেন, পর্যায়ক্রমে বিদ্যমান পুরনো বাসগুলোর স্থলে নতুন বাস দেয়া হবে। এরই মধ্যে পুরনো বাস দিয়ে কোম্পানি গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে দিয়েছে ডিএসসিসি।
২০১৭ সালের আগস্টে ঢাকায় কোম্পানিভিত্তিক চালুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। তবে মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে উদ্যোগটি দীর্ঘদিন থেমে থাকে। পরে প্রথমে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও পরে ডিএসসিসির কাছে বাস ব্যবস্থাপনা পুনর্গঠনের দায়িত্ব দেয়া হয়। লক্ষ্যে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে, যার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন।
বর্তমানে ঢাকায় প্রায় ছয় হাজার বাস-মিনিবাস চলাচল করছে। প্রায় ১৩৭টি কোম্পানির অধীনে চলছে বেশির ভাগ বাস। একইভাবে একক মালিকানায় সাড়ে আটশোর বেশি বাস রয়েছে। এসব বাসের একটা বড় অংশেরই ফিটনেস নেই। পুরনো ও আনফিট বাসগুলো দিয়ে কোম্পানি গঠন হলে ঢাকার বাস ব্যবস্থাপনায় তেমন কোনো পরিবর্তন আসবে না বলে মনে করছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মিজানুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ঢাকায় যেসব বাস চলাচল করে, তার একটা বড় অংশের কন্ডিশন ভালো নয়। এখন এ বাসগুলো নিয়ে কোম্পানিভিত্তিক সেবা প্রবর্তন করা হলে সেটি কোনোভাবেই পরিপূর্ণ হবে না। তবে নতুন বাস যেহেতু সবগুলো একসঙ্গে আনা সম্ভব না, তাই বিদ্যমান বাসগুলোর মধ্যে যেগুলো ভালো অবস্থায় আছে, সেগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সেটি সাময়িকভাবে, নতুন বাস না আনা পর্যন্ত।
ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে গঠিত ‘বাস রুট র্যাশনালাইজেশন ও কোম্পানির মাধ্যমে বাস পরিচালনা পদ্ধতি প্রবর্তন’ কমিটি এখন পর্যন্ত নয়টি সভা করেছে। প্রাথমিকভাবে ছয়টি কোম্পানি ও ২২টি রুট নির্ধারণ করা হয়েছে। বাস রুট র্যাশনালাইজেশনের জন্য একটি সমীক্ষা প্রকল্প তৈরির কাজও এগিয়ে চলছে বলে
