শেবাচিমের আইসিইউ

১০ ভেন্টিলেটর মেশিনের ৯টিই বিকল

বণিক বার্তা প্রতিনিধি বরিশাল

চিকিৎসাসেবায় দক্ষিণাঞ্চলবাসীর ভরসাস্থল বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল। অঞ্চলে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) রয়েছে শুধু হাসপাতালেই। এই আইসিইউ ইউনিটের ১০টি ভেন্টিলেটর মেশিনের (কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস চালানোর যন্ত্র) মধ্যে নয়টিই বিকল হয়ে রয়েছে। চিকিৎসক সংকটের মধ্যে নতুন সমস্যা যোগ হওয়ায় শেবাচিম হাসপাতালের আইসিইউ সেবা প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

শেবাচিম হাসপাতালের পূর্ব দিকের নতুন দ্বিতল ভবনের নিচতলায় ২০১৭ সালের ২৩ জুলাই আইসিইউ ইউনিট চালু করা হয়। চালুর সময়ই ১০টি আইসিইউ বেড, ১০টি বড় তিনটি ছোট আকারের ভেন্টিলেটর মেশিন মনিটর সরবরাহ করা হয়। কিন্তু দুই বছরের মধ্যে একে একে নয়টি ভেন্টিলেটর মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে একবারে মাত্র একজন রোগীকে সেবা দেয়া যাচ্ছে। ফলে সবসময় ব্যস্ত থাকায় প্রায়ই মুমূর্ষু রোগীকে ঢাকায় নিতে হয়। সেক্ষেত্রে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে।

এদিকে ইউনিটটিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেবক-সেবিকা বাদে চিকিৎসক সংকট চলছে শুরু থেকেই। যেখানে কমপক্ষে ১০ জন চিকিৎসকের প্রয়োজন, সেখানে রয়েছেন মাত্র একজন। কনসালট্যান্ট, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মেডিকেল অফিসারের পদগুলো খালি।

দায়িত্বরত সেবক-সেবিকারা জানান, গত অক্টোবর আইসিইউর নতুন নার্সিং ইনচার্জ দায়িত্ব নেন। ওইদিন তিনি ১০টির মধ্যে মাত্র দুটি ভেন্টিলেটর মেশিন সচল অবস্থায় পান। এর এক মাস পর আরেকটি ভেন্টিলেটর মেশিন নষ্ট হয়ে যায়। গত দুই মাসে ভেন্টিলেটর প্রয়োজন এমন ছয় থেকে সাতজন রোগীকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। মুমূর্ষু রোগীকে তো সিরিয়ালে অপেক্ষা করানো যায় না। ফলে তাদের ঢাকায় রেফার করা ছাড়া উপায় থাকে না।

ইউনিটটিতে দায়িত্বরত অ্যানেস্থেসিস্ট ডা. নাজমুল হুদা বলেন, আইসিইউতে চিকিৎসক সংকট ভেন্টিলেটর মেশিন নষ্ট থাকার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এছাড়া এখানে প্রয়োজনীয় আরো অনেক কিছুই নেই। এটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানে। তারা দ্রুত এসব বিষয় সমাধান করে দেয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে শেবাচিম হাসপাতালে কোনো রোগী ভর্তি হতে এলে আগে থেকেই স্বজনদের আইসিইউর বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়, যাতে প্রয়োজন পড়লে তারা ?

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন