হায়দরাবাদ শহরে এক পশুচিকিৎসক ছাত্রী গণধর্ষণ ও তাকে পুড়িয়ে হত্যায় সম্পৃক্ত সন্দেহভাজন চারজন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কথিত ওই বন্দুকযুদ্ধ ঘটে বলে জানায় পুলিশ। খবর রয়টার্স, বিবিসি।
সন্দেহভাজন ওই অভিযুক্তরা পুলিশের হেফাজতেই ছিল ও রাতে তাদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তারা। সেখানে তারা পুলিশের অস্ত্র কেড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হয় বলে জানান স্থানীয় পুলিশ কমিশনার ভি সি সজ্জনার।
গত ২৮ নভেম্বর সকালে ওই চিকিৎসকের দগ্ধ মরদেহ পাওয়া গেলে তেলেঙ্গানাজুড়ে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। মেয়েটির পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুললে তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
তীব্র সমালোচনার মধ্যে পুলিশ মেয়েটির লাশ উদ্ধারের পরদিন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মো. আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন ও চিন্তকুন্ত চেন্নাকেশভুলু নামে চারজনকে গ্রেফতার করে। তারা সবাই পেশায় ট্রাকচালক বা হেলপার।
অপহরণ করে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ওই চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয় পুলিশ। মামলা শুনানির জন্য বুধবার দ্রুত বিচার আদালত স্থাপন করে তেলেঙ্গানা রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই আদালতে মামলা ওঠার আগেই পুলিশের গুলিতে চার আসামির মৃত্যু হলো।