শরীর কর্মক্ষম রাখতে ভিটামিন ‘সি’ অপরিহার্য। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি ভিটামিন ‘সি’ সর্দি-কাশির সমস্যা দূর করে। এটা সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি শরীরকে ক্ষতিকর পদার্থ থেকে রক্ষা করে। বিশেষ করে চোখের লেন্স, কোষের ভেতরকার নিউক্লিয়াস, ত্বক ও হাড়ের কোলাজেনকে সুরক্ষা দেয় ভিটামিন ‘সি’। এ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আমাদের কোষের র্যাডিক্যাল ক্ষয় থেকে রক্ষা করে। আর যেহেতু মানবশরীর ভিটামিন ‘সি’ সংশ্লেষণ করতে পারে না, তাই সুস্থতা বজায় রাখতে আপনাকে খাবার বা পরিপূরক থেকে যথেষ্ট পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে
প্রতিদিন আমাদের কী পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ গ্রহণ করা উচিত? যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি স্বাস্থ্য সংস্থা ন্যাশনাল একাডেমি অব মেডিসিন ভিটামিন ‘সি’ গ্রহণের একটা মাত্রা সুপারিশ করেছে। প্রস্তাবিত সুপারিশটি রিকমেন্ডেড ডায়েট্রি অ্যালাউন্স (আরডিএ) নামে পরিচিত। আরডিএর সুপারিশে লিঙ্গ ও বয়সভেদে ভিটামিন ‘সি’-র চাহিদার পার্থক্য রয়েছে। সুপারিশে শিশুদের জন্য ১৫ থেকে ৭৫ মিলিগ্রাম, প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের জন্য ৭৫ মিলিগ্রাম, প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের জন্য ৯০ মিলিগ্রাম এবং গর্ভবতী ও বুকের দুধ খাওয়ানো নারীদের ৮৫ থেকে ১২০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
ভিটামিন ‘সি’ সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। ভিটামিন ‘সি’-এর সবচেয়ে বিশেষ ব্যাপার হলো, এটি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিনের অভাবে শরীর যখন সংক্রমণের জন্য সংবেদনশীল হয়ে ওঠে, তখন ভিটামিন ‘সি’-এর সাপ্লিমেন্টগুলো সংক্রমণ রোধ করতে সহায়তা করতে পারে।