যুক্তরাষ্ট্রে চীনের বিরল মৃত্তিকা রফতানি বাড়ছেই। গত অক্টোবরে মাসভিত্তিক হিসাবে দেশটিতে চীনের বিরল মৃত্তিকা চুম্বক রফতানি ২১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। এ মাসে রফতানি হয়েছে ৪৭৭ টন, যা অন্তত ২০১৬ সালের পর সর্বোচ্চ। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের তথ্যভাণ্ডারে এ পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে। খবর রয়টার্স।
চীনা বিরল মৃত্তিকা চুম্বক যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা যন্ত্র, কনজিউমার ইলেকট্রনিকস এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহূত হয়। এর মধ্যে ইলেকট্রনিকস ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতেই ব্যবহার আমদানির প্রায় ৫৬ শতাংশ।
বিরল মৃত্তিকা চুম্বকের শীর্ষ উৎপাদক দেশ চীন। বাণিজ্য বিরোধের জেরে গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যটির সরবরাহ সীমিত করতে পারে চীন এমন আশঙ্কা ছিল। কিন্তু দেখা গেছে, এর পর থেকে বার্ষিক উত্তোলন লক্ষ্য উল্টো বাড়িয়েছে চীন।
৮ নভেম্বর প্রকাশিত কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, গত অক্টোবরে বিভিন্ন দেশে চীনের বিরল মৃত্তিকার সামগ্রিক রফতানি ৩ হাজার ৬৩৯ টনে দাঁড়িয়েছে, যা আগের মাসের তুলনায় ১ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি।
উল্লেখ্য, স্মার্টফোন ও বিদ্যুত্চালিত গাড়ির ব্যবসা সম্প্রসারণের কারণে নিকেল, কপার, কোবাল্ট ও ম্যাঙ্গানিজের মতো ধাতুর চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এ ধরনের ধাতুর খনিজকে বলে বিরল মৃত্তিকা বা রেয়ার আর্থ। আর এ বিরল মৃত্তিকার আন্তর্জাতিক বাজারে একক আধিপত্য চীনের। দিন দিন চাহিদা বৃদ্ধির কারণে এসব ধাতুর নতুন নতুন উেসর খোঁজে নেমেছে বেশ কয়েকটি দেশ।
গভীর সমুদ্রতল হলো বিরল মৃত্তিকার বিশাল ভাণ্ডার। সমুদ্রতলে যে বিভিন্ন ধাতু দিয়ে গঠিত বিশেষ পিণ্ড পাওয়া যায়, সেটিতে বিরল মৃত্তিকার প্রায় সব উপাদানই রয়েছে। এ খনিজ অনুসন্ধান ও আহরণ প্রযুক্তির দিক থেকে চীন এরই মধ্যে বহুদূর এগিয়েছে।