মানবিক বিবেচনায় ও সহানুভূতিশীল যে কেউ চাইলে কিডনি দান করতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে মাদকাসক্ত কোনো ব্যক্তির বা কেনাবেচা করেন এমন কারো কিডনি গ্রহণ করা যাবে না বলেও জানিয়েছেন আদালত। ফলে এখন থেকে গ্রহীতা নিকটাত্মীয় না হলেও কিডনি গ্রহণে আর বাধা থাকল না।
নিকটাত্মীয়ের গণ্ডির বাইরে স্বেচ্ছায় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দানে বাধা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে সাড়ে চার বছর আগে করা এক রিটের শুনানি শেষে গতকাল বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খোন্দকার নীলিমা ইয়াসমিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুদ্দিন খালেদ।
আদেশে হাইকোর্ট বলেন, স্বেচ্ছায় দানকারী ব্যক্তির কাছ থেকে কিডনি নেয়ার আগে তার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা ধরা না পড়লেই কেবল তার কাছ থেকে কিডনি নেয়া যাবে। তবে কোনো মাদকাসক্ত ব্যক্তি ডোনার হতে পারবেন না।
এর আগে গত ৭ নভেম্বর কিডনি প্রতিস্থাপন বিষয়ে সাত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কমিটি আদালতে মতামত দাখিল করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রো-ভিসি ও বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলমের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটিতে ছিলেন কিডনি ফাউন্ডেশনের চিফ কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. হারুন-উর-রশিদ, বিএসএমএমইউর নেফ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আসিয়া খানম, বিএসএমএমইউর ইউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম খুরশীদুল আলম, বারডেম হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মির্জা এমএইচ ফয়সাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নেহাল করিম এবং জাতীয় কিডনি ডিজিজ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নুরুল হুদা।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি তাদের মতামতে বলেছে, আত্মীয় নন, এমন কারো কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন নেই। আইনের বাইরে অন্য কারো কিডনি প্রতিস্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি হলে দেশের দরিদ্র মানুষের জীবন সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। ধনীরা বাণিজ্যিকভাবে এর ব্যবহার করবে। অঙ্গ