সুপ্রিম কোর্টে বিশৃঙ্খলা

বাড়াবাড়ির একটা সীমা থাকা দরকার —প্রধান বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আপিল বিভাগে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের হট্টগোল বিশৃঙ্খলা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেছেন, বাড়াবাড়ির সীমা থাকা দরকার। এটা নজিরবিহীন। আমি এর আগে আদালতে পরিস্থিতি দেখিনি।

গতকাল পূর্বনির্ধারিত দিনে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতির প্রতিবেদন না আসায় আপিল বিভাগ বিএনপি নেত্রীর জামিন শুনানি পিছিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করার পরই আদালতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের দেয়া আদেশ মেনে নিতে পারেননি বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। সময় তারা এজলাসে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। অন্য মামলার বিচারকাজ পরিচালনায়ও বাধা সৃষ্টি করেন। পরে বিচারকাজ স্থগিত করে বিচারপতিরা এজলাস ত্যাগ করলে সরকার সমর্থক বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিও হয়।

বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা গতকাল প্রায় ঘণ্টা আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে অবস্থান নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। সময় আদালত কক্ষ থেকে বের হতে বা নতুন করে কাউকে ঢুকতে বাধা দেন তারা। এজলাস কক্ষেই তারা স্লোগান দেন—‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, বেইল ফর খালেদা জিয়া কয়েক দফা চেষ্টার পরও আইনজীবীরা শান্ত না হওয়ায় বিচারপতিরা সকাল ১০টায় এজলাস থেকে নেমে যান। ফলে আপিল বিভাগের নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

বিচারপতিরা এজলাস থেকে নেমে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের হট্টগোলের মধ্যেই আদালত ত্যাগ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির মুরাদ রেজা, আইনজীবী ফজলে নূর তাপস, আব্দুল মতিন খসরু, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এম আমিন উদ্দিনসহ আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা। ওই ঘটনার প্রতিবাদে তারা মিছিলও করেন। লম্বা সময় এজলাসে অপেক্ষা করেও বিশৃঙ্খলার কারণে বিচার কার্যক্রম চালাতে না পেরে বেলা সোয়া ১টার দিকে এজলাস ছাড়েন বিচারপতিরা। এরপর বিএনপিপন্থী আইনজীবীরাও স্লোগান দিতে দিতে ধীরে ধীরে আদালত কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান।

এদিকে এজলাসে হট্টগোলের পর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের মিলনায়তনে এসে পর পর সংবাদ সম্মেলন করেন

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন