এসএ গেমস ফুটবলে প্রথম দুই ম্যাচ শেষে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে ছিল বাংলাদেশ। অপেক্ষাকৃত দুর্বল ভুটানের সঙ্গে হারের পর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের সঙ্গে ড্র করে জামাল ভুঁইয়ার দল। এ অবস্থায় পাঁচ দলের এ আসরে স্বর্ণমিশনে টিকে থাকার জন্য শ্রীলংকার বিপক্ষে জয়ই একমাত্র বিকল্প হয়ে দাঁড়ায়। গতকাল বাঁচা-মরার ম্যাচে শ্রীলংকাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে জামাল বাহিনী। এ জয়ে তিন ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে স্বাগতিক নেপাল।
কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে ম্যাচের একাদশতম মিনিটেই লিড পায় বাংলাদেশ। সংঘবদ্ধ আক্রমণের সুফল পায় জেমি ডের শিষ্যরা। গোলটি করেন মাহবুবুর রহমান সুফিল। অধিনায়ক জামালের ক্রস থেকে বল পান সাদ উদ্দিন। দলকে বিপদমুক্ত করতে এগিয়ে আসেন লংকান গোলরক্ষক সুজন পেরেরা। ফাঁকা পোস্টে বল জালে জড়াতে কোনোই ভুল করেননি সুফিল। গোল করার পরও আক্রমণ থামায়নি বাংলাদেশ। যদিও দু-দুটো সহজ সুযোগ হাতছাড়া করায় ব্যবধান বড় করতে পারেনি জেমির শিষ্যরা।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠে লংকানরা। পাল্টা আক্রমণে যায় বাংলাদেশও। ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় অবশ্য এ অর্ধে গোলের নাগাল পায়নি কোনো দলই। রক্ষণভাগের পাশাপাশি গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকুর দৃঢ়তায় কোনো অঘটন ছাড়াই জয়ের আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
আগের দুই ম্যাচের নিষ্প্রভ দলে গতি ফেরাতে এ ম্যাচে চার পরিবর্তন নিয়ে একাদশ গড়েন জেমি। উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনটি ছিল স্ট্রাইকার নাবিব নওয়াজ জীবনের জায়গায় প্রথম একাদশে সুফিলকে জায়গা দেয়া। প্রথম দুটো ম্যাচেই বাংলাদেশের জন্য বড় সংকট হয়ে দেখা দিয়েছিল বিপক্ষ দলের ডি বক্সে স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতা। প্রথম সুযোগেই গোল করে পরিবর্তনের যৌক্তিকতা প্রমাণ করেছেন সুফিল।
এবার ফুটবলে অংশ নেয়নি উপমহাদেশের পরাশক্তি ভারত। খেলছে না পাকিস্তানও। স্বভাবতই ফোকাসটা ছিল বাংলাদেশের দিকেই। অলিম্পিকের আদলে এ আসরের আয়োজনও অনূর্ধ্ব-২৩ দল নিয়ে। সিনিয়র কোটায় স্কোয়াডভুক্ত করা যায় তিনজনকে। জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল নেতৃত্ব দিচ্ছেন এ দলটিকে। ১৬ জন জাতীয় দলের অভিজ্ঞতাপুষ্ট। কিন্তু কোনো কিছুই আটকাতে পারেনি বিপর্যয়। সহজ প্রতিপক্ষ ভুটানের কাছে হারে পথ হারানোর জোগাড় হয় বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে এগিয়ে গিয়ে লিড ধরে রাখতে পারেনি জেমির শিষ্যরা। শেষ পর্যন্ত পরিবর্তনে তৃতীয় ম্যাচে ধরা