ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক বব উইলিস ৭০ বছর বয়সে ইহলোকের মায়া ত্যাগ করলেন।
১৯৭১-৮৪ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের জার্সিতে বিশ্ব ক্রিকেট দাপিয়ে বেড়ান উইলিস। ৯০ টেস্টে তিনি শিকার করেন ৩২৫ উইকেট। তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন ১৯৮১ সালের অ্যাশেজে বীরত্বপূর্ণ বোলিংয়ের কারণে। সিরিজে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়া ইংলিশরা হেডিলিংতে পড়ে ফলো-অনে। ইয়ান বোথামের হার না মানা ১৪৯ রানে ভর দিয়ে অসিদের ১২৯ রানের টার্গেট দিতে সমর্থ হয় স্বাগতিকরা। ক্যারিয়ারের গোধূলিলগ্নে থাকা উইলিস এ টার্গেটেই জেতান ইংল্যান্ডকে। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৪৩ রানে ৮ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে গুটিয়ে দেন ১১১ রানে! শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড সিরিজ জয় করে ৩-১-এ। উইলিস ২২ দশমিক ৯৬ গড়ে নেন ২৯ উইকেট।
১৯৮৪ সালে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার আগে ইংল্যান্ডকে ১৮ টেস্টে ও ২৯ ওয়ানডে ম্যাচে নেতৃত্ব দেন উইলিস।
উইলিস ৬৪ ওয়ানডেতে ৮০ উইকেট, ৩০৮টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে ৮৯৯ উইকেট ও ২৯৩টি লিস্ট-এ ক্রিকেটে ৪২১ উইকেট নেন। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৪২ রানে আট উইকেট শিকারের কীর্তি আছে এ কিংবদন্তি ফাস্ট বোলারের।
এক বিবৃতিতে বব উইলিসের পরিবার জানায়, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর অবশেষে মৃত্যুবরণ করলেন এ সাবেক ক্রিকেটার। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রিয় ববকে হারিয়ে আমাদের হূদয় ভেঙে গেছে, যিনি ছিলেন একজন অসাধারণ স্বামী, বাবা, ভাই ও দাদা। যাদের চিনতেন তাদের সবাইকেই তিনি মুগ্ধ করেছেন নানাভাবে। আমরা তাকে ভীষণভাবে অনুভব করব।’
বিবিসিতে কিছুদিন ‘পণ্ডিত’ হিসেবে কাজ করার পর ১৯৯১ সালে স্কাই স্পোর্টসে ধারাভাষ্যকার হিসেবে যোগ দেন উইলিস। তিনি স্কাইয়ের সঙ্গেই ছিলেন এবং এ বছর ইংল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত অ্যাশেজেও ধারাভাষ্য দলে ছিলেন।
ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড ইংলিশ ক্রিকেটের এ কিংবদন্তির বিদায়ে শোকবাণী দিয়েছে। তারা লিখেছে, ‘এ খেলাটির জন্য তিনি যা কিছু করেছেন, সেজন্য আমরা চিরঋণী। ক্রিকেট তার একজন সুহূদকে হারাল।’ বিবিসি
