নেপালকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত হয় আগের দিন। মালদ্বীপের বিপক্ষে বাংলাদেশ নারী দলের ম্যাচটি তাই আনুষ্ঠানিকতার বেশি কিছু ছিল না। তবুও সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে সোনার লড়াইয়ে নামার আগে নিজেদের আধিপত্য প্রমাণের বিষয়টি তো ছিলই। এ মালদ্বীপকে প্রথম ম্যাচে নেপাল অলআউট করে ১৬ রানে, শ্রীলংকার বিপক্ষে দলটি সংগ্রহ করে ৩০। বাংলাদেশের সামনে তাই চ্যালেঞ্জ ছিল আরো বড় কিছু করে দেখানোর। পোখারায় সেই বড় কাজটিই করে দেখিয়েছে মেয়েরা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ৬ রানেই মালদ্বীপকে গুটিয়ে দেন সালমারা।
টস জিতে আগে ব্যাট করে নিজেদের ব্যাটিং প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে বাংলাদেশ। সেঞ্চুরি করেন নিগার সুলতানা ও ফারজানা হক। এর আগে টি২০-তে কোনো সেঞ্চুরি ছিল না বাংলাদেশের। এবার একই দিনে বাংলাদেশ পেল দুজন সেঞ্চুরিয়ান। নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশ তোলে ২ উইকেটে ২৫৫ রান। জবাবে ১২.১ ওভারে ৬ রানে অলআউট মালদ্বীপ। জয় ২৪৯ রানের বিশাল ব্যবধানে। রোববার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল ও শ্রীলংকার আজকের ম্যাচের জয়ী দল।
প্রথম ওভারেই জোড়া রান আউটের ধাক্কায় পড়ে মালদ্বীপ। ইনিংসের তৃতীয় বলেই নাহিদার হাত ধরে সাফল্যের দেখা পায় বাংলাদেশ। আইমা আইশাতকে কোনো রান করার আগেই রানআউটের ফাঁদে পেলেন নাহিদা। একইভাবে রানআউটের শিকার হয়ে ওভারের শেষ বলে ফেরেন সুমাইয়া আবদুল। স্কোর বোর্ডে যখন ২ রান, তখন তৃতীয় উইকেট হারায় মালদ্বীপ। কিনানাথ ইসমাইলকে বোল্ড করেন রিতু মনি। ২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন বড় হারের পথ তৈরি মালদ্বীপের। একই ওভারে রিতুর দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন কোনো রান না করা হামজা নিয়াজ। সেই ২ রানে থাকা অবস্থায় সালমা ফেরান হাফসা আবদুল্লাহকে (০)। এ সময় দ্রুত পড়তে থাকে একের পর এক উইকেট। এক পর্যায়ে টাইগ্রেসদের তোপের মুখে মাত্র ৬ রানেই শেষ মালদ্বীপের ইনিংস। রানের খাতাই খুলতে পেরেছেন মাত্র ৩ ব্যাটার। সেই তিনজনের সম্মিলিত রান ৪। অন্য দুই রান এসেছে অতিরিক্ত থেকে। বল হাতে মালদ্বীপকে ধসিয়ে দেয়ার মূল কাজটি করেছেন রিতু মনি ও সালমা খাতুন। ৪ ওভারে ৩ মেডেনে ১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রিতু, ৩.১ ওভারে ১ মেডেনে ২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন সালমা।
বাংলাদেশের শুরুটা আশানুরূপ ছিল না। দলীয় ১০ রানের মাথায় শারমিন