খিচুড়ি যেভাবে ব্রিটিশ রেসিপি বুকে

আলেকজান্ডার লি। অনুবাদ: হাসান তানভীর

ব্রিটেন  ভারতের মধ্যকার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক বেশির ভাগ সময় ঝামেলাপূর্ণ থাকলেও কারণে রান্নার ক্ষেত্রে কিছু অসাধারণ সাংস্কৃতিক উদ্ভাবন ঘটেছে।

কোনো একটি খাবার যখন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে হস্তান্তরিত হয়, ভিন্ন সংস্কৃতিতে প্রবেশ করে বা ভিনদেশে হাজির হয়, তখন ওই খাবারটি যারা খায় তারা রেসিপিটি পুনরায় রান্না করে। শুরুতে রান্নার পার্থক্যগুলো ছোট মনে হতে পারে, তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি একসময় মূল রেসিপির বাইরে চলে যায়। পুরনো রেসিপি নতুন পদ্ধতি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। রান্নার নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করা হয় এবং সবসময় খাবারটির নতুন একটি নাম দেয়া হয়। ধরনের পরিবর্তনের সময় প্রকৃত নামটি অস্পষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে প্রতিটি পরিবর্তন নতুন ভোক্তাদের সম্পর্কে আমাদের তথ্য দেয়। তাদের স্বাদ, অর্থনীতি, ভাষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি তা হলো রেসিপিটির প্রকৃত মালিকদের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের চেহারাটি সামনে চলে আসে।

পুরো ব্যাপারটি অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান রন্ধন প্রণালির ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সত্য। এর ভালো উদাহরণ হলো তরকারি চাল-ডালের ঘণ্ট। তবে এক্ষেত্রে সম্ভবত সবচেয়ে উপযুক্ত উদাহরণ হলো কেজেরি, যা তৈরি করা হয় কষানো মাছ, সেদ্ধ ডিম, ভাত, মাখন, মসলা কিশমিশ দিয়ে। এটা দারুণ মজাদার খাবার। যদিও এটি যে ভারতীয় খাবার থেকে উদ্ভূত হয়েছিল, তার সঙ্গে সামান্যই সাদৃশ্য রেখেছে, তবে কেজেরির বর্তমান রূপটিতে বিবর্তনের আগে এর ছোট-বড় পরিবর্তনগুলো কেবল ব্রিটিশরাজের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কেই নয়, বরং সঙ্গে ভারতের প্রতি তাদের মনোভাব সম্পর্কেও ধারণা দেয়।

 

বণিক থেকে শাসক

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন